অশ্লীল নায়িকার তকমা, মুনমুনের আক্ষেপ

৯০’র দশকে লেডি অ্যাকশন সিনেমায় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন চিত্রনায়িকা মুনমুন। এ ঘরানার সিনেমায় সফলতা পেলেও তার নামের সঙ্গে জুড়ে যায় ‘অশ্লীল নায়িকা’র তকমা। বিষয়টি নিয়ে মানবজমিনকে মুনমুন আক্ষেপের সুরে বলেন, আমি এমন একটা সময় চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছিলাম যখন সিনেমার রমরমা অবস্থা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বলতে হয় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অশ্লীলতা গ্রাস করতে শুরু করলো চলচ্চিত্রকে। আমিও এ সংকটের মধ্যে পড়ে গেলাম। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু নির্মাতা লেডি অ্যাকশন ফর্মুলায় সিনেমা বানিয়ে পোশাকে, ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলে কিংবা গানের দৃশ্যে অশ্লীলতা ঢুকিয়ে দিতেন। আমার অভিনীত সিনেমায় এমন দৃশ্য সংযোজন করে দিতো যে দৃশ্যে আমি অভিনয় করিনি। নারী শিল্পীকে যারা ওই সময় পণ্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন পর্দায় তারা বেশিরভাগই আজ আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সেসব পরিচালক এর নাম আজও সবাই ঘৃণার সঙ্গেই স্মরণ করেন। মুনমুন আক্ষেপের সুরে বলেন, শিল্পী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ছিল সে সময় প্রতিবাদ করা।

কিন্তু করতে পারিনি। কারণ ওইসব প্রযোজক-পরিচালক কিছু অসাধু প্রশাসনিক লোক ও মাফিয়াদের সাঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন। আমি তখন অসহায় ছিলাম। এখনতো সার্কাস করছেন? তার অবস্থা কি? মুনমুন বলেন, সার্কাসে যখন আমার জনপ্রিয় সিনেমার গানের সঙ্গে অভিনয় করি সাধারণ দর্শক উল্লাসে ফেটে পড়ে। মুনমুনকে এক নজর কাছাকাছি দেখার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নারী-পুরুষ সার্কাস দেখতে আসেন। আমি নিজেও এ কাজকে ভালোবেসে ফেলেছি। মানুষের ভালোবাসা সরাসরি পাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি আর কি চাওয়ার আছে। এদিকে মুনমুন জানালেন, চলতি মাসের ১৩ তারিখ কাশেম মণ্ডলের ‘এক বিন্দু ভালোবাসা’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। মুনমুন বলেন, এ ছবির কাজ শুরু করবো চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে। এখানে নায়কের বোনের চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। তবে অভিনয়ের বেশ সুযোগ আছে। আশা করছি খুব ভালো একটি কাজ হবে।