স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফটিকছড়ি থানার স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী মো. রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরার আদালত এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম ভুজপুর থানার হারুয়ালছড়ি গ্রামের পশ্চিম লম্বা বিল এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি থানার আজিমপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ছাবিনা খাতুনের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের ২০০৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরযাত্রী খাওয়ানোর পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা ও একটি সাইকেল রফিককে দেয় ছাবিনার পরিবার। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে ছাবিনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো রফিক ও তার পরিবার। এ নিয়ে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিস হয়।

২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রমজানের ইফতারি নিয়ে ছাবিনা খাতুনের শ্বশুর বাড়ি যায় তার বোন রোজি আকতার। ইফতার কম পাঠানোর অভিযোগ তুলে ছাবিনাকে মারধর করে রফিক। পরদিন ভোরে ছাবিনাকে বাড়ির পাশে খালপাড়ে ডেকে নিয়ে যায় রফিক। সেখানে তাকে গলা টিপে ও খালের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ছাবিনার ভাই মো. হাসেম বাদী হয়ে ছাবিনার স্বামী রফিকুল ইসলাম, শ্বশুর আবুল খায়ের, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম ও ননদ বেবী আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে রফিক ও তার মা আনোয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১০ সালের ২৭ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, মামলার অভিযোগপত্রের ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি রফিকুল ইসলাম রায়ের সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।