মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক চেয়ারম্যান গণ-পাঠাগারে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ দিলেন রাউজানের মেয়র পারভেজ

রাউজান পৌরসভার মেয়র ও রাউজান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ও স্নেহধন্য ছিলেন’ উল্লেখ করে বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুভূতি ও অন্তরাত্মায় মিশে আছেন। জাতির পিতার প্রতি আমাদের ঋণ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অশেষ। বঙ্গবন্ধু মুজিব মানেই বাংলার মুক্ত আকাশ- বাঙালির অবিরাম মুক্তির সংগ্রাম এবং বাঙালি জাতির অস্তিত্ব। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা, সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের জনগণের প্রতি মানুষের প্রতি ভালোবাসা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান গণ-পাঠাগারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির হাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ৪৭টি কপি তুলে দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন রাউজানের মেয়র। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেয়র ব্যক্তিগতভাবে এ উপহার প্রদান করেন। এ সময় শওকত বাঙালি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন নি এমন হাজারো মুক্তিযোদ্ধা গত হয়েছেন। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবচে বড় সার্টিফিকেট দেশের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ। ৫০ বছর আগে সার্টিফিকেটের আশায় এবং আজকের ভাতা পাবার লোভে কোন মুক্তিযোদ্ধা রণাঙ্গণে যান নি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এই মুক্তিযোদ্ধাপুত্র। গতকাল ৭ আগস্ট রবিবার রাউজান পৌরসভার মেয়র কার্যালয়ে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌর কাউন্সিলর জানে আলম জনি, রাউজান পৌরসভা আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সালেক, মোঃ তকি সিকদার সার্বজনীন মসজিদ ও কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিক্ষানুরাগী মোঃ ইউসুফ, সহ-সভাপতি দিদার কামাল ও কোষাধ্যক্ষ মোঃ মহিউদ্দিন পারভেজ, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক পুত্র মোঃ জামাল উদ্দিন, তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা শওকত জামান রাসেল, আইন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কামরুল মিন্টু, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা নোমান তালুকি প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি আমাদের এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক সাহিত্য বা আত্মজৈবনিক সাহিত্যের ইতিহাসের ধারায় এক অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ ইতিহাসের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রটির উৎসমূলকে বুঝতে গেলে এ-বইটি পাঠ অপরিহার্য। বিশেষ করে যারা তরুণ, যুবক; যারা আগামী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, তাদের জন্য এ গ্রন্থটি পাঠ করা জরুরী, কেননা এই গ্রন্থটি আগামী বাংলাদেশের কারিগরদের চলার পথের পাথেয়।