মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: তাসফিরও চলে গেলেন নীরবে

মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা তাসফির হাসান নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতে সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে।

শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ৯টার ৫০ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসফিরের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন আইসিইউর চিকিৎসক ডা. হারুণ অর রশিদ।

তিনি বলেন, প্রথম থেকেই তাসফিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার মাথা আঘাত ছিল এবং ঘাড় ভেঙে যায়। বলতে গেলে পুরো শরীর প্রায় অবস হয়ে যায়। গত ৩১ জুলাই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে অফিসিয়ালি তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

তাসফিরের মামাত ভাই মহিউদ্দিন মনছুর বলেন, কিছুক্ষণ আগে তার শরীর থেকে সব যন্ত্রপাতি খুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি মরদেহ বুঝে নেওয়া জন্য। সে গত ৭ দিন ধরে আইসিইউতে ছিল। চলে যাওয়ার আগে শেষ কথাটুকুও হলো তার সঙ্গে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশের (একেএমবি) অফিস সমন্বয়ক মো. আবদুল্লাহ বলেন, হাসপাতালে মারা যান তাসফির। তার মরদেহ গোসল ও দাফন-কাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১১ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এর আগে মিরসরাইয়ের এ ঘটনায় নিহত ১১ জন এবং শুক্রবার মারা যাওয়া আয়াতের মরদেহ গোসল ও দাফন-কাফন আমাদের টিমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

এর আগে গতকাল (৫ আগস্ট) দুপুরে আয়াতুল ইসলাম আয়াত নামে আরও এক জনের মৃত্যু হয়। গত ২৯ জুলাই মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাসকে ট্রেনের ধাক্বা দিলে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়।