চলন্ত বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস ডাকাতি ও গণধর্ষণের মামলায় মূলহোতা রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার নিশ্চিত করেছেন।
রাজা মিয়া কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। সে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো ও টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা সড়কে ঝটিকা বাসের চালক ছিলো।

পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, মধুপুরে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেন। রাতে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি আরও জানান, অজ্ঞাত ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।

টাঙ্গাইলে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মধুপুর থানায় ওই নারী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪/২৫ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। বাসটি সিরাজগঞ্জ পৌছালে ১২/১৩ জনের ডাকাতদল যাত্রীবেশে ওই বাসে উঠে পড়েন।

এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এ সময় বাসে থাকা সকল যাত্রীর হাত, পা ও চোঁখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করে। একপর্যায়ে এক নারী যাত্রীকে ডাকাতদলের ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করে। বুধবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর ডিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে যায় ওই ডাকাত দল।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মধুপুর থানায় ওই নারী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।