রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে ‘জয়বাংলা লাইব্রেরি’

রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতেই অন্যান্য ট্রেনের সঙ্গে চোখে পড়বে রঙিন একটি বগি। সেই বগিতে বড় অক্ষরে লেখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর।

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত জাদুঘরটিতে ‘জয় বাংলা’ লেখার আদলে একটি লাইব্রেরি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত ও তার কর্মজীবনের ওপর লেখা গুরুত্বপূর্ণ বইসমূহ। এছাড়া শিশুদের জন্য রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বিভিন্ন শিশুতোষ সাহিত্যকর্ম।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানতেই এ উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

জাদুঘরটিতে পিতার বেড়ে ওঠা ও কর্মময় জীবনের ঘটনাগুলো নিয়ে ধারাবাহিক ১২টি পর্বে নির্মাণ করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ আর ইতিহাসের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এ জাদুঘর।

বগিটিতে চিত্রকল্পে অঙ্কিত হয়েছে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা, ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর ১১ দফা, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়, ২৬ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকার গঠন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাঙালি জাতির বিজয় অর্জন।

সেখানে লেখা- বীর বাঙালী অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন করো, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, পাকিস্তানি স্বৈরাচার নিপাত যাক, ৬ দফা মানতে হবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ২৬ শে মার্চ ১৯৭১।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত থাকবে এটি। এরপর ভাটিয়ারী স্টেশনে থাকবে ৫ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত৷

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর রেলের ইতিহাসে প্রথম ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। চট্টগ্রামে উদ্বোধন হওয়া একটি মিটারগেজ কোচকে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিতে সাজানো হয়েছে। জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে।