নিরাপত্তা ছাড়া রেলগেট একটা মরণফাঁদ: জিএম

বাড়ির পাশে যত্রতত্র রেলগেট না বানাতে অনুরোধ করবো। নিরাপত্তা ছাড়া রেলগেট একটা মরণফাঁদ।

পূর্বাঞ্চলে যে অবৈধ রেলগেটগুলো আছে, সেগুলোর মধ্য থেকে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ রেলগেট সেগুলো আপগ্রেড হবে। সেগুলোতে ব্যারিয়ার বা প্রটেকশন সিস্টেম বসানো হবে। আর বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মিরসরাইয়ে রেল দুর্ঘটনায় তদন্তের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আমরা এ বিষয় নিয়ে বসেছি। যেটি সত্য ঘটনা সেটিই তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, রেল দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতার বিকল্প নেই। রেললাইন পারাপারের সময় মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। গাড়ি নিয়ে পার হওয়ার সময় সাবধানে ও নিয়ম মেনে পার হতে হবে।

জিএম বলেন, অসচেতনতা হোক বা যেভাবেই হোক একটা ঘটনা ঘটে গেছে। আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার নেই। এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে। যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের একটা সভা হয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। যেখানে রেলমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় এলজিইডি, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, সিডিএ, সিটি করপোরেশন হোক তারা যে লোকাল রোডগুলো করেছে সেগুলোর তালিকা যেন রেলওয়েকে প্রদান করে।

রেলের এ জিএম বলেন, আগে ৯৯১টা অবৈধ গেট (লেভেল ক্রসিং) ছিল। তবে এ অবৈধ গেটগুলোর মধ্যে ১৭৯টি গেট নতুন করে আপগ্রেড করা হয়েছে। ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছে।