স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু

২৫শে জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের ১৮ ঘণ্টা পর বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে শুরু হয়েছে যান চলাচল। আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় যান চলাচল। তবে যান চলাচলের প্রথম দিনে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ঠিক সকাল ৬টায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় পদ্মা সেতু। এর আগেই রাত থেকে সেতুর দুই প্রান্তে এসে জড়ো হয় বিভিন্ন বাহন। সেতু খুলে দেয়ার আগ পর্যন্ত উভয়প্রান্তে ছিল গাড়ির দীর্ঘ সারি। মোটরবাইক চালকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের টোল গেট ১৪টি বুথে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে। নির্ধারিত টোল দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে যানবাহন।

মোটরবাইক চালকরা বলেছেন, ইতিহাসের সাক্ষী হতেই অনেকটা অপ্রয়োজনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন। পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ।

দেশের সব চেয়ে বড় স্থাপনা। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের। টোল দিচ্ছি। টোলের রিসিটটা সংরক্ষণ করবো। সেখানে সময়সহ সেতুর ছবি আছে। এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। সেতুতে যাতায়াত করতে পেরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন কেউ কেউ। তাদের কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন।
এদিকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে প্রাইভেট কার, যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বেশি। প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলে সেতু পার হতে লাগছে ৬ মিনিট। অন্যদিকে যাত্রীবাহী বাসে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় ৮ মিনিট।

এর আগে গতকাল শনিবার উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী টোলপ্লাজায় প্রথম টোল দেন। সেতু পার হয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে জাজিরা প্রান্তে যান।

ভায়াডাক্টসহ ৯ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির টোল আদায় কার্যক্রম দ্রুতগতির করতে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের দুটি টোলপ্লাজায় বসানো হয়েছে সাতটি করে মোট ১৪টি গেট। যান চলাচলে সেতুটি খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চালু হয়ে যায় দুই প্রান্তের সব টোল গেট।

সেতুতে টোলের হার ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। ছোট বাসে ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২১০০-২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫৫০০ টাকা। পিকআপের টোল ১২০০ টাকা। কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১৩০০ টাকা। মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে চাইলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হল।