বাংলাবাজার ঘাটে জনসভাস্থলে মানুষের ঢল

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় আয়োজিত জনসভায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ লঞ্চে আসতে শুরু করেছেন। শনিবার ভোর থেকে বরিশালের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে একে একে ভিড়ছে লঞ্চ।

সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এরপর দুপুরে বাংলাবাজার ঘাটে জনসভায় যোগ দেবেন। এতে অংশ নিতে বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা থেকে আসছেন মানুষ। সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাবাজার ঘাটে ২০টি লঞ্চে প্রায় ৪৫ হাজার নেতাকর্মী এসেছেন। আরও কয়েকটি লঞ্চ ভিড়বে। সব মিলে লঞ্চে আসা লাখও মানুষ জয়োৎসবে যোগ দেবে।

বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায়, প্রতিটি বিলাসবহুল লঞ্চে হাজার হাজার নেতাকর্মী। ঘাটে আসামাত্র বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) লোকজন লঞ্চগুলো সিরিয়ালে রেখে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন।

আগত নেতাকর্মীরা জানান, নিয়মিত রুটের লঞ্চগুলো জনসভা স্থলে নিয়ে আসার জন্য ভাড়া করা হয়েছে। রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে রওনা হন তারা। ভোর থেকে লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে।

রাজহংস-১০ লঞ্চে আসা তৈমুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ‘বরিশালের হিজলা থেকে রাত ১১টায় রওনা হয়েছি।

মাত্র আসলাম। খুব ভালো লাগছে। আমাদের লঞ্চে প্রায় ১৬শ’ লোক আছে। আমাদের উপজেলা থেকে পাচটি লঞ্চ এসেছে।’
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, লঞ্চগুলোতে নেতাকর্মীদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি লঞ্চে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতারা নেতৃত্বে ছিলেন। তারা লঞ্চের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা দেখভাল করেছেন। আসার পথে কোনও সমস্যা হয়নি।
পটুয়াখালীর বাউফল থেকে আসা মিরাজ হোসেন বলেন, ‘রাতে লঞ্চে উঠেছি। সারারাত আনন্দ করেছি। কোনও সমস্যা হয়নি। আমাদের নেতারা সব ব্যবস্থা করেছেন। বাউফল উপজেলা থেকে সাতটি লঞ্চে প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী জনসভায় যোগ দেবেন বলে শুনেছি। এছাড়া অন্য জেলা-উপজেলা থেকে লঞ্চে আসবেন অনেকেই।’

মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর) সার্কেল আনিসুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ যাতে কোনও নাশকতা সৃষ্টি না করতে পারে, সে ব্যাপারেও সজাগ রয়েছি।