মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির জন্য ৬৫দিন সাগরে মাছ ধরা নিষেধ

চলতি বছর কুতুবদিয়ায় মৎস্য প্রনোদনা পাচ্ছে ১০ হাজার ৯৫৯ জন।

লিটন কুতুবী::

বঙ্গোপসাগর,নদী,হাওর,খাল এলাকায় মাছের প্রজনন মৌসুম
হিসেবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তারই আদেশে
উপকূলীয় এলাকা কুতুবদিয়া দ্বীপের মৎস্যজীবিরা সরকারি
বিধি নিষেধ মান্য করে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। সৎস্য
অধিদপ্তরের আদেশ মোতাবেক গত ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত
মোট ৬৫ দিন জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রাখার আদেশ জারি করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় কুতুবদিয়া উপকূলের জেলেরা সাগরে
মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। সৎম্য অফিসের তালিকাভূক্ত জেলেদের
প্রনোদনা হিসেবে প্রতি জেলেকে দুই কিস্তিতে ৮৬ কেজি
চাল বিতরণ করবে মৎস্য অফিস।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর
তঞ্চঙ্গ্যা সাথে কথা হলে তিনি জানান, কুতুবদিয়ায় ১০হাজার
৯৫৯ জন জেলের জন্য প্রনোদনা চালের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এসব
জেলেরা দুই কিস্তিতে প্রনোদনা চালগুলো পাবেন। তন্মধ্যে ১ম
কিস্তিতে ৫৬ কেজি এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩০ কেজি।
বর্তমানে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে প্রথম কিস্তির চাল জেলেদের
নিকট বিতরণ কাজ চলমান।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা মেরিন ফিশারী অফিসার
মোহাম্মদ নাজমুস সাকিবের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত
১০ জুনের মধ্যে মৎস্য অফিস থেকে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে
মৎস্য কাজে জড়িত জেলেদের হালনাগাদ করে তালিকা প্রেরণের
জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে ৬ ইউনিয়ন থেকে তালিকাপত্র
পাওয়া গেছে। ১২ জুন জেলেদের নিকট চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
প্রথম কিস্তি ৪২ দিনের জন্য জনপ্রতি ৫৬কেজি চাল এবং
দ্বিতীয় কিস্তি ২৩ দিনের জন্য ৩০ কেজি চাল পাবে।
এ দিকে কুতুবদিয়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির
সভাপতি বর্তমান কৈয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান আজমগীর
মাতবর জানান, কুতুবদিয়া উপকূলে ছোট বড় প্রায় দুই হাজার
ফিশিং ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারগুলোতে প্রায় ১২ হাজার জেলে
শ্রমিক মৎস্য কাজে নিয়োজিত। সরকারিভাবে নতুন পুরাতন
প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ৯৫৯ জন জেলে নিবন্ধনের আওতায় আছে।
নিবন্ধিত জেলেরা সরকারি প্রনোদনার সুযোগ সুবিধা পেলেও
প্রায় আড়াই হাজার জেলে সরকারি প্রনোদনা সুবিধা থেকে
বঞ্চিত।
কুতুবদিয়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ
সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, সরকার ঘোষিত মৎস্য প্রজনন
মৌসুম হিসেবে সাগরে মাছ ধরা নিষেধ রয়েছে। বর্তমানে
জেলেরা উপকূলে বেকার সময় কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় বাদ পড়ে
যাওয়া প্রকৃত জেলেদের নাম নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারি
প্রনোদনা যথা সময়ে বন্টন করার জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতি
অনুরোধ জানান।