পবিত্র মাহে রমজান এবং সময়টা প্রচন্ড গরম। তাই রোজা রেখে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখা দরকার। রোজার প্রধান আকর্ষণ হল ইফতার।
সারাদিনের রোজার পর সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষ ইফতারের আয়োজন করে থাকে। এ ইফতার হওয়া উচিত পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত ও রুচিকর। রোজার মাসে শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই জটিলতাগুলো থেকে অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
*ইফতারের প্রথম খাবার শরবত। শরবত তৈরি করা যায় ফলের রস, ইসুবগুলের ভুসি, তোকমা, দুধ, দই, বেল, লেবু ইত্যাদি দিয়ে।
*ইফতারে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। ডাবের পানিও ইফতারে সংযোজন করা যেতে পারে।
*যদি কারও ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে শরবতে চিনি ও গুড় বাদ দিতে হবে। তারা বিকল্প চিনি দিয়েও শরবত করে খেতে পারেন।
*ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, শাকের বড়া, আলুর চপ, বেগুনি, ফ্রায়েড রাইস, নরম খিচুড়ি, চিড়া, নুডুলস, ফল, হালিম, জিলাপি ইত্যাদি সবই ক্যালরিবহুল। এ কারণে প্রতিদিন আট-দশটি পদ না খেয়ে চার-পাঁচটি পদ দিয়ে ইফতার করুন।
*যদি কারও কিডনির সমস্যা থাকে তাহলে ডালের তৈরি সব খাবারই বাদ দিতে হবে।
*ওজন বেশি থাকলে যতটা সম্ভব কম তেলের ইফতারিই প্রয়োজন।
*যাদের আলসার আছে বা গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা আছে, তাদের শক্ত খাবার এবং ডুবো তেলে ভাজা খাবার বাদ দিয়ে নরম খাবার যেমন, চিড়া, নরম খিচুড়ি, ঘুগনি, নুডুলস এ ধরনের খাবার খাওয়া উচিত হবে।
* বাইরের তৈরি ইফতার স্বাস্থ্যসম্মত নাও হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব বাইরে তৈরি ইফতার থেকে বাসায় তৈরি ইফতার করুন।