মেঘনা সেতু নির্মাণের জন্য ১২ স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

মেঘনা সেতু নির্মাণের জন্য শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে মেঘনা নদীতে চলছে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই পরীক্ষা।

সেতু নির্মাণের জন্য ১২ স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

নদীর মরফলজি ও হাইড্রোলজি পরীক্ষার কাজ চলমান। আগামী ডিসেম্বরে সমীক্ষার প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হবে আর এর সম্ভাব্য ব্যয় কতো হবে।

সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ২৪৩ কোটি টাকার সেতু নির্মানের সম্ভব্যতা যাচাইয়ের একটি প্রকল্প হাতে নেয় গত বছর জুন মাসে। সাম্ভব্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয় সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান দোহা, স্পেনের প্রতিষ্ঠান তিপশা ও জাপানের প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানগুলো মাঠ পর্যায়ে সম্ভব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। প্রথমে এক মাস ব্যাপী ট্রাফিক সার্ভে করা হয়। ওই পথ দিয়ে কত যানবাহন চলাচল করে, কী ধরনের যানবাহন চলাচল করে। তাতে অর্থনৈতিক প্রভাব কি রকম আছে এ বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে।

এরপর মেঘনা নদীতে মরফলজি ও হাইড্রোলজি পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়। গত মার্চ থেকে মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে।

মেঘনা সেতুর সম্ভব্যতা যাচাই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো.লিয়াকত আলী টিবিএসকে জানান, মেঘনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ধাপে ধাপে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি শেষ করা হয়েছে। আরও ধাপ চলমান আছে।

আগস্টের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ করে ডিসেম্বরে মন্ত্রণালয়ে সব প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা, রিসেটেলমেন্ট প্লান, সেতুর এলাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কত কিলোমিটার সেতু হবে, এর ব্যয় কত হবে।

মেঘনা নদীর যানবাহন পারাপারের বাহন মূলত ফেরি আর ইঞ্জিন চালিত নৌকা। চর আর মূল নদী মিলে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদীতেই হবে সেতু।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বেনাপোল, ভোমরা, সমুদ্র বন্দর মংলা ও পায়রা বন্দরের সাথে নিয়মিত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহন করা হয়। এই বন্দরগুলোর সাথে দুটি বিভাগের জেলাগুলোর দূরত্ব কমিয়ে যাতায়াত সহজ করার জন্য মেঘনায় সেতু নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে।