লিটন কুতুবী,কুতুবদিয়া,কক্সবাজার
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পড়া সংলগ্ন লুইজ্জার বিল হতে গুলিবিদ্ধ দুই জলদস্যুর লাশ উদ্ধার করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, ৩০ এপ্রিল অনুমান রাত ৩টার দিকে কুতুবদিয়া থানাধীন আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতে আলী সিকদার পাড়া সংলগ্ন লুইজ্জার বিলে দুই দল জলদস্যুর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনে এলাকাবাসী কুতুবদিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়।
থানার টহলরত পুলিশ এস,আই মোসলে উদ্দিন বাবলু তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়েঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রাস্তার পাশে দুইজন আজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পিছু নিলে সন্ত্রাসীরা একপর্যায়ে পুলিশের উপর গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশ সদস্য পলাশ বড়–য়া গুলিবিদ্ধ হয়।আতœরক্ষার্থে পুলিশ ৩৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়লে সন্ত্রাসিরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ১০ রাউন্ডসহ অন্তত ৪০/৪৫ রাউন্ড হাল্কা ও ভারি অস্ত্রের গুলি ছোড়ে। ঘটাস্থল থেকে পুলিশ একটি কাটা বন্দুক,৪টি রাইফেলের গুলির খোসা,৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। হতাহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে আনা হলে অজ্ঞাত দুইজনকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রেজাউল হাছান মৃত ঘোষনা করেন।
মঙ্গলবার সকালে (৩০ এপ্রিল/১৯) হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যাক্তিকে দেখে স্থানীয় চৌকিদার ও এলাকার লোকজন তাদের সন্ক্ত করে। মৃত দুইজনই যথাক্রমে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের শাহ আলম সিকদার পাড়ার মৌলভী সৈয়দুল আলমের পুত্র এরফান হোসেন প্রকাশ এরফান মাঝি (৩২)এবং অন্যজন লেমশীখালী ইউনিয়নের ছামিরা পাড়ার এনামুল হকের ছেলে নুর হোসেন বিল্লাহ (২৬) বলে চিহ্নিত করে।
দক্ষিণ ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমেদ চৌধূরী ও লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ আকতার হোছাইনের সাথে দুই নিহতের ব্যাপারে কথা হলে তারা বলেন, নিহত দুইজনই আন্তঃজেলার কুখ্যাত জলদস্যু। তাদের অত্যচারে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারে না।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস জানান, নিহতদের মধ্যে এরফান মাঝি বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন উপকূলের জলদস্যুতা, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। অপর জন নুর হোসেন বিল্লাহ তার সহযোগী। এরফানের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া,মহেশখালী,বাশঁখালীসহ উপকূলীয় থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা,জলদস্যুতা,অস্ত্র,মাদকসহ প্রায় ৭টি মামলার পলাতক আসামী। সে কুতুবদিয়ার শীর্ষ জলদস্যু। জলদস্যুতা ছাড়াও সমুদ্রপথে ইয়াবা চালানের কাজ ও করতো তার দল। নুরু হোসেনের বিরুদ্ধে কুতুবিদয়া থানায় একটি মাদকের মামলা আছে।