জ্বলছে ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রেসিডেন্টের এসওএস বার্তা (ভিডিও)

জ্বলছে ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জেপোরোজিয়া। সেখানে রাশিয়ার সেনাবাহিনী গোলা নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। রাজধানী কিয়েভ থেকে তিনি জরুরি ভাষণে এই আহ্বান জানিয়েছেন ভোরে। এর মধ্য দিয়ে পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটে থাকবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন। আহ্বান জানিয়েছেন- ইউরোপিয়ান, দয়া করে জেগে উঠুন! একে এসওএস বা বাঁচার আকুতি হিসেবে দেখা যেতে পারে।
এ নিয়ে জেলেনস্কির টিমের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সির (আইএইএ) মহাপরিচালক জেনারেল রাফালেন গ্রোসি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে আরও বলা হয়, জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন রাশিয়ার বোমা বর্ষণের কারণে এতে আগুন লেগেছে। এর আশেপাশে সংঘর্ষ থামানোর আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা। ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিওপোলের উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এখনো পর্যন্ত রাশিয়া শুধু খারসন শহর দখল করতে পেরেছে।
ওই পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রে তেজষ্ক্রিয়তার মাত্রা কি পর্যায়ে তা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এরপরেও রাশিয়ার গোলা নিক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী এক রিপোর্টে জেপোরোজিয়ার আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান আলেকজান্দার স্টারুখ বলেছেন, বিদ্যুতকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত আছে। তিনি ফেসবুকে মাত্র একটি বাক্য পোস্ট করেছেন। বলেছেন, ইনারহোডারে অবস্থিত জেপোরোজিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশনের (জেডএনপিপি) পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাকে নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তার বাক্যটি এরকম- জেডএনপিপির পরিচালক আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেছেন যে, স্থাপনার পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত আছে।
রাশিয়ার হামলার পর ওই পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের চুল্লি গলনের ফলে বড় রকমের তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন যখন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা তখন এ তথ্য সামনে এলো। তবে এসবই প্রাথমিক তথ্য। এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না আসলে সেখানে কি ঘটেছে। কারণ, পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে গোলা নিক্ষেপের পর তাতে আগুন ধরে গেছে। এ অবস্থায় পারমাণবিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় সেখানে ভয়াবহ এক পরিণতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা যায়, যেমনটা ঘটেছিল চেরনোবিল পারমাণবিক স্থাপনায়।