অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস

তমাল চন্দ্র দে নামে এক যুবককে অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুুপরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সুমিত ধর (৩০) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার হারবাং ধরপাড়া মাস্টার বাড়ির দেবব্রত ধরের ছেলে। খালাস পেয়েছেন সুমিত ধরের স্ত্রী মমিতা দত্ত এ্যানি (২৬)। রায়ের সময় দুইজনই পলাতক ছিলেন।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তমাল চন্দ্র দে’র (২৫) সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সুমিত ধরের পরিচয় হয়। একই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জ এলাকায় গণি বেকারি থেকে কুসুমকুমারী স্কুলে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তমাল চন্দ্র দে’র মুখমণ্ডলে ছোড়া অ্যাসিডে মুখমণ্ডল ও চোখ ঝলসে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তমালের চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেটের বসবাসকারী আত্মীয় সৌরভ বসাক জেকি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তমালের অ্যাসিডদগ্ধ মুখমণ্ডল ও চোখের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সুমিত ধরের স্ত্রীর নমিতা দত্ত এ্যানির সঙ্গে তমালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তমাল চন্দ্র দে’র বাবা বাবুল চন্দ্র দে সুমিত ধর ও তার স্ত্রী মমিতা দত্ত এ্যানির নাম উল্লেখ করে কোতোয়ারী থানায় ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন।

চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী বলেন, কোতোয়ালী থানার তমাল চন্দ্র দে নামে এক যুবককে অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় ২৪ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে সুমিত ধর নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী মমিতা দত্ত এ্যানিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।