কোর্ট হিলে ভবন নির্মাণ নিয়ে বিভ্রান্তি’র নিরসনে মেয়রের সহায়হতা চান আইনজীবীরা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর পরীর পহাড়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি’র ভবন নির্মান নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা আলাপ আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ আজ বুধবার বিকেলে মেয়রের সাথে টাইগারপাসস্থ কর্পোরেশনের অস্থায়ী অফিসের কনফারেন্স রুমে স্বাক্ষাত করতে এলে তিনি একথা বলেন। এসময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে চট্টগ্রাম জেল আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক এড. এ.এইচ এম জিয়াউদ্দিন, বার কাউন্সিলর এডহক কমিটির সদস্য এড. মো. মুজিবুল হক, সাবেক সভাপতি এড. এ. কে.এম সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, এড. মোক্তার আহমদ, এড. মনতোষ বড়ুয়া, এড. কাজী নজমুল হক, এড. মোস্তাফিজুর রহমান, এড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহসভপতি এড. শফিউল্লাহ, সহসভাপতি আজিজ উদ্দিন হায়দার, সহ সাধারণ সম্পাদক এড. মোহাম্মদ এরশাদুর রহমান টিটু, এড. সালাউদ্দিন মনসুর, এড. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, এড. লায়লা নূর, মো. মেজবাহ উদ্দনীন, এড. মো. তৌহিদুল বারী চৌধুরী, এড.এ.এন.এম রোকনুজ্জামান মান্না, এড. সেলিনা আক্তার, এড. চন্দন তালুকদার, এড. আইনুল কামাল, মোস্তাফিজ করিম, মো. মোরশেদ আরম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী নেতৃবৃন্দ মেয়রকে স্বারকলিপিও প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উদ্দেশ্যে মূলকভাবে আইনজীবী ভবন সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে অবহিত করেন এবং পুরাতন আদালত ভবনের সামনে পার্কিং ও বাগান করতে মেয়রকে অনুরোধ জানান।
আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন ১৯৭৭ সনের ৩১ডিসেম্বর ১৪৮৮৮ নম্বর দলিলমূলে সরকার চট্টগ্রাম কোর্টহিলের সরকারি খাস জমির চৌহর্দ্দি উল্লেখপূর্বক চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিকে হস্তান্তর করে। ১৯৭৮ সনের বিভিন্ন সময়ে সমিতির ভবনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তা ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মাণ করা হয়। যা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়।
গতবছর (২০২১) সিডিএ’র সচিব গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়ে সমিতির ভবনসমূহ নির্মাণ কাল থেকে এযাবত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে সিডিএকে কোন আপত্তি প্রদান বা অবগত করা হয়নি বলে স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়। আনইজীবীগণ আরো জানান সমিতির সীমানা দেয়ালও ২০০৪-২০০৫ সালে মজবুত করে নির্মাণ করা হয়। ফলে ভবন সমূহ কোনভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আইনজীবীদের বক্তব্য শুনেন ও স্মারকলিপির বক্তব্য অবলোকন করে জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ-আলাচনা করে এই বিভ্রান্তি নিরসনের উদ্যোগ নিবেন বলে তাদের আশ^াস দেন।