চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২১ জানুযারী ২০২২ বিকেল ৫ টায় চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিল্পী রশিদ চৌধুরী আর্ট গ্যালারী প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মুর্তজা বশীর স্মৃতি বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক জনাব প্রণব মিত্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি প্রফেসর আবদুল হক, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ওয়ার্ডেন প্রফেসর জাহেদ আলী চৌধুরী।

   মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি ইনস্টিটিউট। দেশবরেণ্য অনেক প্রখ্যাত শিক্ষক-শিল্পী এ ইনস্টিটিউটে অধ্যাপনা করেছেন। এ ইনস্টিটিউটের ৬জন গুণী শিল্পী একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। এ গুণী শিক্ষকদের সান্নিধ্যে থেকে অনেক শিক্ষার্থী আজ দেশ-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। মাননীয় উপাচার্য বলেন, চারুকলা একটি নানন্দিক শিল্পকর্ম। চারুশিল্পীরা তাঁদের কল্পনা ও মনের সত্য বাসনা রং-তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন; যা সাধারণ মানুষের শৈল্পিক মনকে পরিতৃপ্ত করে। প্রসঙ্গক্রমে মাননীয় উপাচার্য বলেন, শিল্পী মুর্তজা বশীর ছিলেন উচুঁমার্গের একজন আদর্শ শিক্ষক। এ গুণী শিক্ষকের নামে স্মৃতিবৃত্তি প্রাপ্তরা ভবিষ্যতে অধ্যয়ন ও অধ্যাবসায়ে অধিক উৎসাহ-অনুপ্রেরণা পাবে মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) আলোকে ইতোমধ্যে চবি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে প্রথম স্থান অর্জন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে অধিকতর দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। মাননীয় উপাচার্য জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে প্রজন্মের সন্তানসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। মাননীয় উপাচার্য বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। পরে মাননীয় উপাচার্য বৃত্তি ও পুরস্কার প্রদান করেন এবং প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।

অনুষ্ঠানে চবি কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, চবি জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম রেজাউর রহমান, শিক্ষক সমিতির সদস্য জনাব মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শিক্ষার্থী যুক্তা সাহা ও তৌহিদ এলাহী। প্রদর্শনী আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা সরকার ঘোষিত সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।