সৃজনশীল পুস্তক পাঠের মাধ্যমে বিকাশ ঘটে মেধা-মনন উন্নত ব্যক্তিত্বের

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, যারা পুস্তক প্রকাশনা করেন তারা সমাজের আলোকবর্তিকা। কালো অক্ষরের সাথে সাথে শব্দ বিন্যাসে তালে তালে অসীম অভিজ্ঞ কল্পনা ও আকৃতি ফুটে উঠে সাদাজমিনে, এর নামই পুস্তক। এধরণের মহৎ কাজে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সমাজের শ্রেষ্ঠ কর্মটি সম্পাদন করে। বই মানুষকে সৃষ্টিশীল ও আনন্দপ্রিয় করে তোলে। সৃজনশীল পুস্তক পাঠের মাধ্যমে বিকাশ ঘটে মেধা-মনন উন্নত ব্যক্তিত্বের। জানা যায় সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের নব-নিবার্চিত পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নব নির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধ মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেহেনা চৌধুরী, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, সিনিয়র সহ-সম্পাদক মো. আলমগীর শিপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, প্রচারও দপ্তর সম্পাদক আনিসুল ইসলাম সুজন, অর্থ সম্পাদক মো. সোহেল রানা প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, অতীতে নগরীতে বইমেলা অনেক সুনামের সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। গতবছরও ঝাঁকজমক পূর্ণভাবে এ মেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হলেও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মেলা আয়োজক কমিটি বাধ্য হয়ে স্থগিত করে। এবছরও মেলা আয়োজন কমিটি সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে তবে সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ কি নির্দেশনা দেয় সে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবুও আমরা গতবার যাদের মাধ্যমে মেলা আয়েজন করা হয়েছিলো তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি নব-নির্বাচিত কার্যকারী পরিষদের সদস্যদের অভিনন্দন এবং তাদেরকে একুশে বইমেলা অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।