রাউজানের নানা খবর

রাউজানের বোরা ধানের চারা রোপন শুরু
শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ শুস্ক মৌসুমে রাউজানের ফসলী জমিতে বোরো ধানের চালা রোপন শুরু করেছে এলাকার কৃষকেরা । রাউজানের হালদা নদী, কর্ণফুলী নদী, সর্তার খাল, ডাবুয়া খাল, লাঠিছড়ি খাল, কেওচিয়া খাল, বেরুলিয়া খাল, খাসখালী খাল, কাগতিয়া খাল, মগদাই খাল, কালচাইন্দ্বা খাল, সেনাইরমুখ খাল, ভোমর ঢালা খাল, মুখছড়ি খাল, রাউজান খাল, হরনাথ ছড়া খাল, ছাউদ্যা ছড়া খাল, মঙ্গলখালী খাল, হৃদ খাল, উভলং খাল, কাঠাল ভাঙ্গা খাল, বইজ্যাখালী খাল, ডোমখালী খাল, মধুখালী খাল, গর্জনিয়া খাল, ত্রিপুরা সুন্দ্রী খাল হাতিজোরা খাল, তেলপাইর খাল, মুগদা খাল থেকে সেচের মাধ্যমে পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করে ফসলী জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করছে । এছাড়া ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় গভীর নলকুপ থেকে পানি উত্তোলন করে সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি সরবারাহ করে কৃষকেরা বোরো ধানের চাষাবাদ করছে । রাউজানের উপজেলঅর ১৪টি ইউনিয়নে ও পৌর এলাকায় ৬ হাজার ৪শত হেক্টর ফসলী জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়ে রাউজান উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল বলেন, রাউজানের পাহাড়ী এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা বোরো ধানের চারা রোপন করা শুরু করেছে । এ পর্যন্ত ১শত হেক্টও জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়েছে । ফসলী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করার কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে এলাকার কৃষকেরা । রাউজান হলদিয়া ইউনিয়নের ফকির টিলা বাজার এলাকার বাসিন্দ্ব মোশারফ আলী বলেন, হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দ্বাবনপুর এলাকায় এক একর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করছেন । বোরিা ধানের চারা রোপন করতে প্রতিজন কৃষি শ্রমিককে ৭ শত টাকা করে মজুরীর টাকা দিতে হয় বলে কৃষক মোশারফ জানান ।

রাউজান হলদিয়া রাবার বাগানে প্রতিতিন ৭ হাজার কেজি রাবার খস থেকে প্রতিদিন ২শত ৮০ কেজি রাবার প্রক্রিয়াজাত রাবার উৎপাদন
রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া, হলদিয়া, শিরনী বটতল, দক্ষিন ক্ষিরাম, এয়াসিন নগর, গলাচিপা, জানিপাথর, বৃন্দ্বাবনপুর, বৃকবানপুর, ক্ষিরাম পাহাড়ী এলাকায় ২ হাজার ৮শত একর পাহড়ী জমিতে হলদিয়া রাবার বাগান । হলদিয়া রাবার বাগানে শীতের মৌসুমে প্রতিদিন ৭ হাজার কেজি রাবারের খস উৎপাদন হচ্ছে । উৎপাদিত রাবারের ৭ হাজার কেজি রাবারের খস কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে প্রতিদিন ২শত ৮০ কেজি রাবার উৎপাদিত হচ্ছে । প্রক্রিয়াজাত করা রাবার প্রতিকেজি ৩শত ৫০ টাকা করে প্রতিদিন একলাখ টাকার রাবার উৎপাদন হয়ে আসছে হলদিয়া রাবার বাগানে । হলদিয়া রাবার বাগানের রাবার গাছ এর খস আহরনের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান । উৎপাদিত প্রতি কেজি রাবার খসঁ আহরন বাবদ ঠিকাদারকে দিতে হয় ৫২ টাকা ৬০ পয়সা । ঠিকাদার প্রতি কেজি রাবার গাছের খস আহরনের কাজে নিয়েজিত শ্রমিককে দিতে হয় ১১ টাকা করে। হলদিয়া রাবার বাগানের উৎপাদিত রাবার বিক্রয় করার টাকা থেকে ঠিকাদারকে প্রতি কেজি ৫২ টাকা ৬০ পয়সা করে পরিশোধ করার পর রাবার বিক্রয়ের যে টাকা থাকে ঐ টাকা দিয়ে হলদিয়া রাবার বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনভাতা সহ অনান্য খরচ বহন করেন বলে, জানান হলদিয়া রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক সুজিত রায় ভৈৗমিক । শীতের তীব্রতা বাড়লে রাবার গাছের মধ্যে রাবার আরো বেশী পরিমান উৎপাদন হবে বলে আশ করেন হলদিয়া রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক সুজিত রায় ভৈৗমিক।

রাউজানের নোয়াপাড়া কচুখাইন এলাকায় কর্ণফুলী নদী দিয়ে যান্ত্রিক নৌযান চালিয়ে জিবিকা নির্বাহকারী জেলে পরিবারের দুঃবিসহ জীবন
রাউজান উপজেলার ১৩ নং ইউনিয়নের কচুখাইন, বাধের গোড়া, ঝিকুটি পাড়া এলাকায় বসবাসকারী জেলে পরিবারের সদস্যরা এক সময়ে হালদা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো । হালদার মা মাছ রক্ষায় হালদা নদী থেকে মাছ শিকার নিষ্দ্বি করার পর জেলে পরিবারের সদস্যরা বাপ দাদার আমলের মাছ শিকার পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়ে জিবিকা নির্বাহ করে আসছে । জেলে পরিবারের মেয়েরা পার্শ্ববর্ত নগরীর কালুঘাট, মোহরা, চান্দঁগাও সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গামেন্টেসে চাকুরী করছে । পুরুষেরা কচুখাইন বাধের গোড়া কর্ণফুলী নদীর ঘাট থেকে যান্ত্রিক নৌযানে করে এলাকার লোকজন কর্ণফুলী নদী পাড় করে কালুর ঘাট নিয়ে ও কালুর ঘাট থেকে কচুখাইন বাধেঁর গোড়া এলাকায় এনে যে টাকা আয় করছেন ঐ টাকা দিয়ে পরিবার পরিজনের ব্যায় ভার বহন করছে। সম্প্রতি হালদা মা মাছ রক্ষায় হালদা নদীতে যান্ত্রিক নৌযান চলাচর বন্দ্ব ঘোষনা দেওয়ায় হালদা নদীর মোহনা কর্ণফুলী নদী দিয়ে জেলে পরিবারের সদস্যরা যান্ত্রিক নৌযানে করে লোক পারাপারে নৌপুলিশ বাধা দেওয়ায় ২শত জেলে পরিবারের সদস্যরা দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন । কচুখাইন বাধের গোড়া কর্ণফুলী ঘাটের যান্ত্রিক নৌযান দিয়ে লোকজন নদী পার করে দেওয়া ইসাহাক মাঝি বলেন, আমারা যন্ত্রিক নৌযান দিয়ে প্রতিদিন লোকজন কর্ণফুলী নদী পার করে জিবিকা নির্বাহ করছি । হালদা নদীর মোহনায় কর্ণফুলী নদী দিয়ে যাত্র পারাপর করি। হালদা নদী দিয়ে কোন যান্ত্রিক নৌযান চলাচল করেনি । আমাদের যাত্রী পারপারের হালকা নৌযান ধরে নিয়ে নৌপুলিশ প্রতিনিয়ত হয়রানী করছে । নৌযান আটক করে নিয়ে গিয়ে নৌযান থেকে ইঞ্জিল খুলে রেখে আমাদেও কাছ থেকে মাছ ধরার জাল উদ্বার করেছে মিথ্যা অভিযোগ দেয় । হালদা নদীর মোহনায় কর্ণফুলী নদী দিয়ে প্রতিদিন বড় বড় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও বড় বড় ড্রেজার ও যান্ত্রিক নৌযান চলাচল করলে ও নৌপুলিশ তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের মতো গহরীবের পেটে লাতি দিয়েছে । জেলেপল্লীর রাজু দাশ নামের এক মহিলা বলেন, মাছ শিকার ছেড়ে দিয়ে ঘাট থেকে লোকজনপারাপার করে জিবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে ঘাট থেকে যাত্রি বন্দ্ব করে দেওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি । স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহিন বলেন, কর্ণফুলী নদী পার হয়ে এলাকার গামেন্টস কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষিকা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন কচুখাইন বাধের গোড়া কর্ণফুলী নদীর ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কালুর ঘাট যায় । কালুর ঘাট থেকে কচুখাইন বাধের গোড়া কর্ণফুলী নদীর ঘাটে যাতায়াত করেন। কর্ণফুলী নদীর ঘাট থেকে চলাচলকারী হালকা যান্ত্রিক নৌযান চলাচল বন্দ্ব করে দেওয়া হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে । অপরদিকে এই পেশায় নিয়োজিত ২শত জেলে পরিবারের সদস্যরা বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন ।

আজাদী’র সম্পাদকের রোগমুক্তি কামনায় রাউজান প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া মাহফিল

দেশের প্রথম সুর্যোদয়ের পত্রিকা দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক এর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মহফিলের আয়োজন করেছে রাউজান প্রেস ক্লাব। গতকাল বুধবার উপজেলা পরিষদ মসজিদে বাদে আছর এই দোয়া মাহফিলে মানবতাবাদি এই সম্পাদকের জন্য দোয়া মুনাজাত করা হয়। অংশগ্রহন করেন সমবেত মুসল্লি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। মসজিদের খতিব মাওলানা এম এ মতিনের পরিচালনায় এই আয়োজনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, কাউন্সিলর জানে আলম জনি,বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউছুপ খান, রাউজান প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল আলম, সাবেক সভাপতি মীর আসলাম, সাবেক সভাপতি প্রদীপ শীল, সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন রানা, এম রমজান আলী, হাবিবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, আরাফাত হোসেন। মুনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক মাওলানা এম.বেলাল উদ্দিন ।

রাউজানে মাদকসহ তিনজন আটক
রাউজানে পৃথক অভিযানে ২৫ লিটার পাহাড়ী চোলাই মদ ও ৩০ পিস ইয়াবা সহ দুই ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৮ জানুয়ারী রাতে জলিল নগর বাসষ্ট্যান্ড ও চিকদাইর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাউজান থানার এসআই মাইন উদ্দিন সঙ্গীয় ফোস রাউজান ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পুর্ব রাউজান সমশের নগর এলাকার মৃত আনোয়ার মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম খোকন (৩৬)কে ৩০ পিস ইয়াবা ও এস আই মাঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোস চিকদাইর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নুরুল হক তালুকদার বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ কাশেমের পুত্র মোহাম্মদ আরাফাত (২১) ও খাগড়াছড়ি জেলা ঘোলা বাড়ি ইউনিয়নেরর উত্তর গজপাড়া এলাকার হযরত আলীর পুত্র মোহাম্মদ হাসান (২৪)কে ২৫ লিটার চোলাই মদ সহ আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলায় রুজু শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লা আল হারুন ঘটনা স্বীকার করেছেন ।