ইলিয়াসের বিরুদ্ধে সুবহার মামলার প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারি

যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।

কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ঠিক করেন।

আদালতে বনানী থানার (নারী-শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।

৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালে ০১ ডিসেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হয়নি।

এর মাঝে সুবহা জানতে পারে ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে রয়েছে এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাকে আড়াইলাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ইলিয়াস।

এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধ বলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। একটু পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এদিকে সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।