পদ্মা সেতু প্রকল্পে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পদ্মা সেতু প্রকল্পে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে কার্পেটিংসহ খুঁটিনাটি কাজ। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সেতুর দুই পাড়ে তৈরি হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক। এগিয়ে চলছে নদীশাসনও। এরই মধ্যে মূল সেতুর অগ্রগতি প্রায় ৯৬ শতাংশ। আর সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৮৯ শতাংশ। দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বদলে দেওয়ার পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে চলতি বছরেই। তাই সেতুর জৌলুস ছড়াচ্ছে চারদিকে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) দ্রুতগতিতে সেতুর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন শুধু স্বপ্নধরার হাতছানি। নতুন বছরে বিশেষ উদ্যমে চলছে সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ। সেতুটি খুলে দেওয়ার আশায় এখন দিন গুনছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ। এরই মধ্যে মূল সেতুর অগ্রগতি প্রায় ৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৪ শতাংশ। সেতুর পাশাপাশি সেতুতে ওঠানামা করাসহ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে। কার্পেটিংসহ খুঁটিনাটি কাজের পাশাপাশি নদীশাসনের কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, টার্গেট সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। এখন পিচ ঢালাই ও সংযোগ সড়কের কাজ চলছে। সেটা শেষ হলেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তিনি জানান, সেতুর মাধ্যমে দুই পারের গ্যাস পাইপলাইনের কাজের অগ্রততি ৭২ শতাংশ। আর ৪০০ কেভি টিএল প্ল্যাটফর্মের অগ্রগতি ৬৮ শতাংশের বেশি। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলছে। মানুষের ভাগ্যবদলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে সেতুটি। খুলছে অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের দ্বার। আরও সহজ হবে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান। এ অঞ্চল হবে দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোন