সাবেক বিচারপতি টিএইচ খান ইন্তেকাল করেছেন

সাবেক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টি এইচ খান আর নেই। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।

টি এইচ খান (তাফাজ্জল হোসেন) সাবেক বিচারপতি। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিরও সাবেক সভাপতি। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

তিন ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন টি এইচ খান। তাঁর বড় ছেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আফজাল এইচ খান। তিনি বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তাঁর বাবার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

পরিবার জানায়, টি এইচ খান ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করার পর কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ‘অ্যাডভোকেট জেনারেল’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৬৯ সালে বিচারপতি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে যোগ দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে আবার আইন পেশায় ফিরে আসেন। দুবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতিও ছিলেন। রুয়ান্ডার গণহত্যার বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

টি এইচ খান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ আসন (হালুয়াঘাট) থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে তিনি আইন ও বিচার, তথ্য ও বেতার, শিক্ষা, ভূমি, প্রশাসন, ধর্ম, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

টি এইচ খানের মৃত্যুতে আইনাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে এক শোকবার্তায় উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস।