মামলা থাকা সত্বেও জোরপুর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মান করার অভিযোগ

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজানের ছত্র পাড়ায় আদালতে মামলা থাকা সত্বেও জোরপুর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মান করার অভিযোগ করেন রাউজান পৌরসভার কর্মচারী শফি । রাউজান পৌরসভার কর্মচারী শফি অভিযোগ করে বলেন, রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৌলভী আলী আহম্মদের বাড়ীতে শফির পৈতৃক বসত ভিটা নিয়ে প্রতিবেশী সোলায়মান ওসমানের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় । বসত ভিটা নিয়ে বিরোধের পর শফি ও তার ভাই বোন মিলে বাদী হয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন । চট্টগ্রাম ৩য় যুগ্ন জেলা জজ আদালতের অপর মোকাদ্দমা নং ১৬৩/২০১৫। এরপর বসত ভিটা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার পর স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আজাদ হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসি বৈঠকে বসে । সেলায়মান সালিসি বৈঠকের সিদ্¦ান্ত মেনে নেয়নি । আদালতে দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে । এ অবস্থায় সোলায়মানের পুত্র শোয়াইব মামুন মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে এসে রাউজান পৌরসভায় গত ১৩ ডিসেম্বর হাফেজ শফির বিরুদ্বে একটি মামলা দায়ের করেন। রাউজান পৌরসভার মামলা নং- ৮৪১/২১। রাউজান পৌরসভায় মামলা করার পর গত ১৯ ডিসেম্বর রাউজান পৌরসভায় জমির দলিলপত্র ও স্বাক্ষীদের নিয়ে রাউজান পৌরসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য নেটিশ দেয় রাউজান পৌরসভা কতৃপক্ষ । নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে পারবেনা বলে সময়ের জন্য আবেদন করেন শফি । এরপর শোয়াইব মামুন বসতভিটায় সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করেন । এ ব্যাপারে গত ১০ জানুয়ারী রাউজান পৌরসভার কর্মচারী শফি বাদী হয়ে রাউজান থানায় অভিযোগ করেন । রাউজান থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ উপস্থিত হয়ে সীমনা প্রাচীর নির্মান কাজে বাধা দেয় । রাউজান পৌরসভার কর্মচারী শফি তার অভিযোগে বলেন, হাফেজ ছালে আহম্মদের পুত্র শোয়াইব মামুন ভাড়টিয়া লোকজন দিয়ে জোরপুর্বক সীমনা প্রাচীর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । এ ব্যাপারে হাফেজ সেলায়মানের পুত্র শেয়াইব মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাউজান পৌরসভার দায়ের করা মামলা করার পর পৌরসভার অনুমতি নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মান করছি । এ ব্যাপারে রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন বলেন, রাউজান পৌরসভার মামলার রায় নিয়ে শোয়াইব মামুন সীমানা প্রাচীর নির্মান করছেন । মামলার রায়ের কপি অভিযোগকারী রাউজান পৌরসভার কর্মচারী শফি পায়নি তার অভিযোগ প্রসঙ্গে পৌর কাউন্সিলর আজাদ হোসেন বলেন, মেয়র ও সালিসী নিস্পত্তি বোর্ডের চেয়ারম্যান ঢাকায় থাকায় মামলার রায়ের কপি শফি কে দেওয়া সম্ভব হয়নি ।