তরুনীর লাশ সনাক্ত, হত্যাকান্ডে জড়িত তিন জন আটক

ফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ গত ২ নভেম্বর রাউজানের ১০ নং পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের আধার মানিক সিকদার ঘাটার দক্ষিন পাশে রাউজান নোয়াপাড়া সড়কের পাশে পড়ে থাকা এক অঞ্জাত নামা তরুনীর লাশ উদ্বার করে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা তরুনীর লাশ উদ্বারের পর থেকে তরুনীর লাশ সনাক্ত করা তার পরিচয় জানতে তরুনীর হত্যকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে রাউজান থানা পুলিশ মাঠে নামে। অজ্ঞাতনামা তরুনীর লাশ উদ্বারের পর ৫১ দিন পর গত ১০ জানুযারী সোমবার মোবাইল ট্যকিংয়ের মাধ্যমে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ঢাকা থেকে তরুনীর কতিপয় স্বামী নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশা (২৪ ) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । নুরুল ইসলাম বাদশার দেওয়া তথ্যমতে তরুনীর পরিচয় পাওয়া যায় । তরুনীর নাম হলো আমেনা বেগম প্রকাশ রাহি প্রকাশ শারমিন (২২) তার পিতার নাম নুর হোসেন । তার বাড়ী কক্সবাজর কুতুবদিয়া পাড়ায় । পুলিমের কাছে দেওয়া আমেনা বেগমের কতিথ স্বামী নুরুল ইসলাম বাদশা বলেন, আমেনা বেগমের সাথে তার প্রেমের সম্পক গড়ে উঠে । প্রেম্বেও সম্পর্কের জের ধরে আমেনা বেগমের সাথে দৈহিক সম্পক ও গড়ে উঠে । দৈহিক সম্পর্কের কারনে আমেনা বেগম গর্ভবতি হয়ে পড়ে । গর্ভবতি হওয়ার পর আমেনা বেগম নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদমাকে বিয়ের জন ্য চাপ দেয় । এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশা আমেনা বেগমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গর্ভপাত করায় । গর্ভপাত করার পর আমোনা বেগমকে বিয়ে না করায় আমেনা বেগম ককসবাজার সদও থানায় নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশার বিরুদ্বে নারী ও শিশু নিয়ার্তন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩৪, তারিখ, ১১/১১/২০১৯। এ মামলায় নুরুল ইসলাম বাদশা গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যায় । আমেনা বেগমের দায়ের করা মামলা তুলে নিতে নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশার পরিবারের সদস্যরা ও তার সহযোগীরা চাফ প্রয়োগ করে। পরে আমেনা বেগমকে বিয়ে করবে নুরুল ইসলাম বাদশা জেল থেকে ছাড়া পেলে এই প্রলোভন দেয় নুরুল ইসলাম বাদশার পরিবারের সদস্যরা । পরে আমেনা বেগম আদালতে উপস্থিত হয়ে তাকে নুরুল ইসলাম বাদশা বিয়ে করবে বলে জবানবন্দ্বী দিয়ে নুরুল ইসলাম বাদশাকে জামিন নেয় আদালত থেকে । নুরুল ইসলাম বাদশা জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আমেনা বেগমকে বিয়ে না করে দিন কালক্ষেপন করতে থাকে । নুরুল ইসলাম বাদশা আমেনা বেগমকে বিয়ে করবে বলে তাকে নিয়ে গত বৎসরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘির পাড়স্থ হোটেল গোল্ডেন সিটিতে এনে একদিন রেখে পরে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ফ্রিপোর্ট এলঅকায় একটি ভাড়া বাসায় রাখা হয় । পরবর্তী গত তার আত্বিয় আকতার হোসেনকে নিয়ে আমেনা বেগম কে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার পরিকল্পনা অনুসারে গত বৎসরের ১৮ নভেম্বর নুরুল ইসলাম বাদশা, আকতার হোসেনকে নিয়ে রাউজানের উরকিরচর জিয়া বাজার এলঅকায় বক্কও কোম্পানীর ভাড়া বাসায় বসবাসকারী সিএনজি অটোরিক্সা চালক মোঃ মেহেরাজ প্রকাশ মোহরাজ (২৩) কে নিয়ে রাঙ্গুনিয়া লিচু বাগান সহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। গত বৎসরের ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক হয়ে আমেনা বেগমকে নিয়ে নুরুল ইসলাম বাদশা, আকতার হোসেন. ডসএনজি অটোরিক্সা চালক মোঃ মেহেরাজ তার সিএনজি অটোরিক্সায় কওে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাওয়ার পথে সিএনজি অটোরিক্সার মধ্যে আমেনা বেগমকে তার গলায় আমেনার শরীওে থাকা ওড়না পেছিয়ে গলাটিপে স্বাসরুদ্ব করে হত্যা করে। হত্যা করার পর তিনজন মিলে আমেনা বেগমের লাশ রাউজান উপজেলার পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের আদার মানিক সিকদার ঘাটার দক্ষিন পাশে রাউজান নোয়াপাড়া সড়কের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায় । আমেনা বেগমের হত্যান্ডের সাথে জড়িত কতিথ স্বামী নুরুল ইসলাম বাদশা আমেনা বেগমের একই এলাকার কক্সবাজার কুতুবদিয়া পাড়ার আবদুলৈ শুক্কর । হত্যাকান্ডের জড়িত থাকা পুলিশের হাতে আটক মোঃ আকতার হোসেন (৩৫) ভোলা জেলার মনপুরা থানার দক্ষিন সাকোচরিয়া এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র। হত্যকান্ডের সাথে জড়িত সিএনজি অটোরিক্সা চালক মোঃ মেহেরাজ প্রকাশ মিরাজ (৩০) নোয়াখালী জেলার হতিয়া উপজেলার হাতিদয়া বাজার এলাকার দক্ষিন আর্দশ গ্রাম জসিম মাঝির বাড়ীর মোঃ রাশেদ মিয়ার পুত্র । রাউজান থানার ওসি তদন্ত কায়সার হামিদ বলেন, অজ্ঞাতনামা তরুনীর লাশ উদ্বারের পর মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘটন করা হয়েছে । তরুনীর পরিবারের সদস্যরা তরুনীর লাশ সনাক্ত করে। ঢাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল ইসলাম বাদশা কে আটক করা হয় । তর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে অপর দুজন আকাতার হোসেন, মেহেরাজ প্রকাশ মিরাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । গতকাল ১১ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিন আসামীকে আদালতে সোর্পদ করা হয় । এ ব্যাপারে রাউজান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ।