দৃঢ়তায় টাইগাররা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম চার দিনেই ব্যাটারদের দৃঢ়তায় টাইগাররা বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৬.২ ওভার ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

যা নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওভার ব্যাট করার রেকর্ড। টেস্টের এক ইনিংসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৯৬ ওভার ব্যাট করেছে। সেটি ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
তবে এবার নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ওভার ব্যাট করার নয়া রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। আগেরটি ছিল ২০১৭ সালে, ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৫২ ওভার। ২০০৯ সালের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো সফরকারী দল হিসেবে বাংলাদেশ ১৭৬ ওভারের বেশি ব্যাট করল। ২০০৯ সালে সর্বশেষ ম্যাকলিন পার্কে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১৯৩.২ ওভার ব্যাট করেছিল পাকিস্তান। ম্যাচটি ড্র হয়। এরপর ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড ১৭০ ওভার, ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ১৬২.৫ ওভার, ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬২.১ ওভার ব্যাট করে।

এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো সফরকারী দলের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ লিড। ২০১৯ সালে ১০১ রানের লিড পেয়েছিল ইংল্যান্ড। অ্যাওয়ে টেস্টে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ১৩০ রানের লিড, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ লিডটি হলো ১৯২ রানের। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ১৯২ রানের লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। আর ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের লিডটি ২৯৫ রানের। সেটি দেশের মাটিতে ২০২০ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম আট ব্যাটারই ৫০-এর বেশি বল খেলেছেন। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে প্রথম আট ব্যাটারই ৫০-এর বেশি বল মোকাবেলা করার এটি প্রথম ঘটনা। প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রান করে বাংলাদেশ। ২০১০ সালের পর সফরকারী দল হিসেবে চতুর্থবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৪০০ রান করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মতো অস্ট্রেলিয়াও চারবার চার শতাধিক রান করে। এর মধ্যে তিনবার পাঁচ শর বেশি রান ছিল অজিদের। তবে অস্ট্রেলিয়া খেলেছিল ৪টি টেস্ট, বাংলাদেশ খেলে ৬টি টেস্ট।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে অল আউট করতে ৮৯০ বল লেগেছে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের। ২০০০ সালের পর প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নিতে কোনো দলের পেসারদের এই ৮৯০ বলই সর্বোচ্চ ডেলিভারির নয়া রেকর্ড। এমনকি ২০০৬ সালের পর প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কোনো দলের পেসারদের এই ৮৯০ ডেলিভারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।