শীতকালে ত্বক ঠিক রাখতে কিছু টিপস

শীত মানেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। আর এই সমস্যা আমাদের মধ্যে অনেকেরই আছে। তাই এই সময়ে অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শীতকালে আবহাওয়ার জন্য আদ্রর্তা অনেকটা কমে যায়। ফলে যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের সমস্যা আরও দিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু এই নিয়ে চিন্তা করার খুব একটা প্রয়োজন হয় না। যদি কিছু বেসিক স্টেপ ফলো করা যায়। নীচে রইল এরকমই কিছু টিপস।

পর্যাপ্ত পানি পান করা
পর্যাপ্ত পানি পান করা এমন একটি অভ্যাস যা আমরা প্রায়ই ব্যস্ত জীবনের তাড়াহুড়োতে ভুলে যাই। পানি শরীর যাবতীয় টক্সিন বার করে দিতে সাহায্য করে, দেহকে ঔজ্জ্বল্য দেয়। এটি আপনার শরীর থেকে ময়লা বার করে দেয় এবং আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও উন্নত করে। জল নিয়মিত খেলে তা এই অতিমারি কবলিত সময়ে ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেহকে শক্তিশালী করে তোলে। তাই নিজের খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি পানি খেতে ভুলে যাবেন না।

পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের ক্ষেত্রে কখনই আপস করবেন না। আট ঘণ্টা থেকে ছয় ঘণ্টার টানা ঘুম দেহের জন্য অপরিহার্য। ঘুম আপনার শরীরের রক্তপ্রবাহকে যথাযথ সঞ্চালন করতে সহায়ক হয়। এ ভাবে সারা দিনের ক্লান্তিও মুছে দেয় ঘুমই। পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে চেহারাতেও থাকে চনমনে ভাব, যা সার্বিক ভাবে আপনার ত্বকেও বোঝা যায়।

যথাযথ ভাবে শীতবস্ত্র পরিধান
শীত থেকে নিজের ত্বককে বাঁচাতে যথাযথ ভাবে সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মোজা ইত্যাদি পরে থাকা দরকার। না হলে শরীরের ভিতরে তৈরি হওয়া অসুস্থতার পাশাপাশি ত্বকও হয়ে পড়বে নিস্তেজ এবং খসখসে। যদিও প্রয়োজন না থাকলে অতিরক্ত শীতের জামাকাপড় দেহে রাখলে ঘেমে গিয়ে দেখা দিতে পারে অন্য সমস্যা।

যথাযথ নিয়মে গোসল
গোসল করা সব ঋতুতেই অত্যন্ত জরুরি। আর শীতকালে সবচেয়ে লোভনীয় হচ্ছে গরম পানি দিয়ে গোসল করা। বাথরুমে গরম পানির শাওয়ার থাকলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে দীর্ঘ সময় গরম পানি আপনার ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এই আবহাওয়ায় গরম পানি গায়ে ঢালবেন না। বরং স্নানের আগে মাঝে মধ্যে গোটা গায়ে রাসায়নিক বিহীন তেল মালিশ করলে কাজ হবে ম্যাজিকের মতো।

নিয়ম মেনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
শীতের সময়ে ত্বক মসৃণ রাখতে ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের শরীরের যেসব অংশ বেশি শুষ্ক থাকে যেমন হাত, পা, হাঁটু, কপাল, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদিতে রাতে শোবার আগে ভালো করে ক্রিম মেখে তারপর মোজা পরে নিলে সকাল পর্যন্ত ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। প্রতিদিন সকালে, গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজড ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে রুক্ষ ত্বকও হয়ে উঠবে ঝলমলে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি ও সবজি খাওয়া উচিত।

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলা
শীতে ত্বক তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখতে অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলতে হবে। ছাতা বা টুপি ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো ব্যবহার করতে না চাইলে সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের রং বিবেচনায় আনতে হবে। যে ত্বক যত উজ্জ্বল, দিনের আলোয় তা তত বেশি নাজুক। শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায় বলে পরিবেশের হিম হাওয়া ত্বকের পানি শুষে নেয়। ফলে ত্বক, ঠোঁট ও হাত, পায়ের তালু ফেটে যায়।