উন্নত প্রযুক্তির সাথে পা ফেলে এগিয়ে যাওয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তরুণদের নেওয়া উদ্যোগই বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পৌঁছে দেবে।সোমবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের পঞ্চম আসরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভিডিও বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এখন বিজ্ঞানের যুগ, প্রযুক্তির যুগ।প্রতিনিয়ত এক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে, উন্নত প্রযুক্তি আসছে। সেই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রযুক্তির সাথে পা ফেলেই এগিয়ে যেতে হবে।‘যদি এই পবিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা চলতে না পারি তাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাবো। আর সেই পবিবর্তনটা সবসময় যুবসমাজই আনে, আনতে পারে। তাদের জ্ঞান-মেধা তাদের সে সুযোগটা দেয়’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।দেশের তরুণ ও যুব সমাজের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে সব সময় পাশে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন ‘তরুণদের মেধা, জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমরা আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের বাংলাদেশের যতটুকু আজ অর্জন হয়েছে গত ১২ বছরে হঠাৎ করে হয়নি। আমাদের সরকারের নীতি এবং আমাদের কর্মসূচির দ্বারাই এটা সম্ভব হয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমরা সব সময় চেয়েছি আমাদের তরুণ সমাজ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের কাজ নিজে করবে এবং আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে । আর সেভাবেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’

আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন- সিআরআই এর ‘অগ্রণী ভূমিকার’ প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিআরআই উদ্যোগ নিয়েছে দেশের প্রতিভাবান ও সফল তরুণ যুবকদের তারা পুরষ্কৃত করবে। যাতে তাদের ভেতরে একটা সাহস জেগে উঠে, এবং তাদের যে জ্ঞান এবং শক্তি, তা তার নিজের ও সমাজের কাজে লাগে। সেই অনুপ্রেরণা যেন তারা পায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই এই পুরস্কার বিতরণের আয়োজন।’দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, এমন ১৫ ব্যক্তি ও সংগঠনকে দেয়া হয় এই পুরস্কার । এই স্বীকৃতি পেতে এবার আবেদন করে সাত শতাধিক ব্যক্তি ও সংগঠন। যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ আবেদন জায়গা পায় চূড়ান্ত তালিকায়। সেখান হতে অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ ব্যক্তি ও সংগঠন পায় এ পুরস্কার ।২০১৪ সাল হতে সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।