বোয়ালখালীতে হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনা

Pujon Senবোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস বলেছেন, হাতি মারবেন না, ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতি পূরণ সরকার দেবে। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদানের সংশ্লিষ্টদের আরো তৎপর হতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরায় বন বিভাগ আয়োজিত হাতি সংরক্ষণ ও হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সিটিটিউট অব ফরেস্ট্রি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের প্রফেসর এএইচএম রায়হান সরকার বলেন, হাতি মারা প্রচলিত আইনে অপরাধ, আবার ধর্মীয়ভাবেও অপরাধ। রাতের বেলা আলো জ্বালানো থাকলে হাতি খুব একটা আসে না। তাই বাড়ি ও রাস্তাঘাট আলোকিত করে রাখলে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। বনের মধ্যে পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি পাচ্ছে না বলেই হাতি লোকালয়ে আসছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) মো. সফিকুল ইসলাম ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোকারম। এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইউনুচ আজম খোকন ও ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।