বোয়ালখালীতে অচল গভীর নলকূপ !

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
শুকনো মৌসুমে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পৌরসভাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূ-গর্ভের পানির স্তর নেমে গেলে অকেজো হয়ে পড়ে টিউবওয়েল। দেখা দেয় পানীয় জলের সংকট। পানির জন্য চলেছে হাহাকার। বৃষ্টির অপেক্ষায় দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকতে হয় এলাকাবাসীকে।
এরই মধ্যে উপজেলা পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদন্ডী এলাকার মইন উদ্দীন দিঘির পশ্চিম পাড় সড়কের পাশে জমিতে সরকারিভাবে বসানো হয়েছে একটি গভীর নলকূপ। যদিও এ নলকূপের পানি কেউই ব্যবহার করেন না। পরিত্যক্ত পড়ে আছে সরকারি অর্থায়নের এ গভীর নলকূপ। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নলকূপটি ২০২০ সালে প্রথম দিকে বসানো হয়েছে। তবে এতে পানি পাওয়া যায় না।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি এসব গভীর নলকূপ ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় ও আবদ্ধ ঘরে বসানোর ফলে এর সুফল এলাকাবাসী পায় না। অনেকেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারি এ সুবিধা নিজেদের মধ্যে নিয়ে নিচ্ছেন। প্রকৃতভাবে পানির সংকটে পড়া এলাকায় ও গভীর নলকূপ বসানো সামর্থ্য যাদের নেই তারা এ সুবিধা পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুদস্সী দেওয়ান বলেন, পোপাদিয়া আকুবদন্ডীর গভীর নলকূপটি প্রায় ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছিলো। কিন্তু নলকূপটি সচল নেই কেন তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। শুকনো মৌসুমে পানীয় জলের সংকট নিরসনে সরকার গভীর নলকূপ বসানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, গভীর নলকূপ বিতরণের ক্ষেত্রে স্থানীয় সাংসদ মহোদয় ও ইউপি চেয়ারম্যানগণের দেওয়া তালিকা অনুসারে বরাদ্দ করা হয়। ফলে কারা পাচ্ছেন কারা পাচ্ছেন না তা জনপ্রতিনিধিদের ওপর।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভূ-গর্ভের পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে এ সংকট দেখা দেয়। অকেজো হয়ে পড়ে টিউবওয়েল। শুকনো মৌসুমে পানীয় জলের সংকট দূর করতে সরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে গভীর নলকূপ। চলতি বছরে বোয়ালখালীতে বসানো হচ্ছে ২৩৪টি গভীর নলকূপ। সরকারিভাবে প্রতি বছর ইউনিয়ন প্রতি ২৬টি করে গভীর নলকূপ বসানো বরাদ্দ আসে।