কেপিএমে সিবিএ নির্বাচন ৩০ নভেম্বরঃ প্রচারনায় ব্যস্ত শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা

 কাপ্তাই প্রতিনিধি কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিলে সিবিএ (কালেক্টিভ বার্গেনিং এজেন্ট) নির্বাচন আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামস্থ রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়নের পরিচালক এই তারিখ ঘোষনা করেন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা হওয়ার পর থেকে শ্রমিক সংগঠন গুলোর নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। কেপিএম সূত্রে জানা গেছে, সিবিএ নির্বাচনে এবার তিনটি শ্রমিক সংগঠন অংশ নিচ্ছে। সংগঠন গুলোর মধ্যে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (রেজি নং- চট্ট-২৬২১) চাকা প্রতীক, কেপিএম ওয়ার্কাস ইউনিয়ন (রেজি নং চট্ট -২৭৫০) ছাতা প্রতীক এবং কেপিএম এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (রেজি নং- চট্ট -৮) হাতুড়ি প্রতীক। কেপিএম সূত্রে আরও জানা গেছে, বর্তমানে মিলে ২১৯ জন ভোটার রয়েছে। এদিকে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর থেকে মিল এলাকা জুড়ে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। তিনটি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিচ্ছে ভোট পাওয়ার আশায়।পাশাপাশি মিলের এবং শ্রমিকদের উন্নয়নে স্ব-স্ব সংগঠনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বাণী শোনাচ্ছে ভোটারদের। অপরদিকে, কেপিএমের জিএম (প্রশাসন) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিনি শ্রমিক সংগঠন গুলোকে আচরন বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কেপিএম শ্রমিক-কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমান সিবিএ) আনোয়ার হোসেন বাচ্চু এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হিল এলাউন্স,অডিট আপত্তি, বৈষম্যের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ডিও হওয়ায় শ্রমিকদের প্রমোশনের কাজও চলছে। ইতিমধ্যে আবাসিক এলাকার বাসাগুলির পানি ও গ্যাস লাইন নতুন করে প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে। যা গত ৭০ বছরে এই প্রথম। এছাড়া নতুন মিল স্থাপনের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০ নভেম্বর কেপিএমের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে মিলের সাবেক এমডি ফজলুর রহমানসহ কয়েকজন কর্মকর্তা কেপিএম পরিদর্শন করেন বলে তিনি জানান। কেপিএম এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের(হাতুড়ী প্রতীক) সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচীত হলে তারা মিলের কাগজ বিক্রি, অডিট আপত্তি ও শ্রমিক,কর্মচারীদের উন্নয়নে কাজ করবেন। কেপিএম ওয়ার্কাস ইউনিয়নের (ছাতা প্রতীক) সভাপতি গাজী নাসির উদ্দিন জানান, তারা নির্বাচীত হলে বিভিন্ন বৈষম্য দূরীকরণ, হিল এলাউন্স, কর্মজীবিদের নিয়মিত বেতনভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করন, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করাসহ সকল পারিবারিক বাসস্থান মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।