ফজলে করিমএমপি’র জন্মবার্ষিকীতে এসো’র শীতবস্ত্র বিতরণ
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র জন্মবার্ষিকী এবং স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-মানোন্নয়নে নব গঠিত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন ‘পশ্চিম রুপচান্দনগর একুশে ইমেজ সোসাইটি (এসো)’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রূপচান্দ নগর গ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, সংগঠনের আত্মপ্রকাশ, শীতবস্ত্র ও ভ্যাসলিন এবং টুথপেস্টসহ ব্রাশ বিতরণ।
গত ১৯ নভেম্বর, শুক্রবার বেলা ৩টায় স্থানীয় জলদাস পাড়ায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আন্তর্জাতিক কমিটির মহাসচিব ও যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, যুদ্ধকালীন ইউনিয়ন মুজিব বাহিনীর অন্যতম উপদেষ্টা লায়ন মোঃ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তর জেলা শ্রমিক লীগ নেতা মোঃ জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ তৈয়ব উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য মফিজ মিয়া, ১নং ইউনিট আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম, মোরশেদ, আহমদ কবির, দীপক বড়ুয়া, তরুণ কবি ইফতেখার হোসেন, সমাজসেবক নোমান তালুকি, হরিহর দাশ, নটবর দাশ, সুকলাল জলদাশ, জীবন দাশ, পরান দাশ, রণজিত দাশ, মিলন দাশ, সাধন জলদাস, দুলাল চন্দ্র জলদাশ, সুকন দাশ, সজীব দাশ, প্রফুল্ল দাশ, মাধব দাশ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলে সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সংঘবদ্ধতার বিকল্প নেই। তিনি জেলে সম্প্রদায়কে মূল ধারায় এনে তাঁদের জীবন-মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে স্থানীয় সমাজপতিদের অনুরোধ জানান। তিনি, অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যে কোন মূল্যে সন্তানদের মানুষ করতে হবে। নতুন প্রজন্ম শিক্ষার আলোহীন কল্পনাও করা যায় না।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, রাউজানকে সারা দেশে মডেল উপজেলা হিসেবে তিনি পরিচিত করেছেন। তিনি রাউজানকে মর্যদার আসনে আসীন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুস সালাম বলেন, এ জেলে সম্প্রদায়কে তিনি দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং তাঁদের প্রয়োজনে ব্যক্তিগত খরচে শ্মশান নির্মাণ করে দেন। আগামীতেও জেলে সম্প্রদায়ের যে কোন প্রয়োজনে তিনি থাকবেন।
