টেলিটককে দোষারোপ ও দায় চাপানোতে ক্ষোভ ঝেড়েছে টেলিটক

অবৈধ ভিওআইপির সন্ধানে বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বেশিরভাগ সময়ই টেলিটকের বিপুল সিম জব্দ হতে দেখা যায়।আর এসব সিম উদ্ধারের পর এই অবৈধ ভিওআইপির জন্য অনেকের টেলিটককে দোষারোপ ও দায় চাপানোতে ক্ষোভ ঝেড়েছে টেলিটক কর্তৃপক্ষ।টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন বেশ জোরের সঙ্গেই বললেন, টেলিটকের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অবৈধ ভিওআইপিতে জড়িয়ে অভিযোগ তোলা হয়। এটা ঠিক নয়, এটা অবাস্তব ও ভিত্তিহীন।তিনি বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, মেসেঞ্জারের মতো ওটিটি অ্যাপের কারণে সারা বিশ্বেই সরাসরি ভয়েস কলে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন ধুঁকছে। সেখানে অবৈধ ভিওআইপি প্রযুক্তিতে টেলিটকের ৭০০-৮০০ সিম নিয়ে কারও কার্যক্রম চালানো কতোটা যুক্তিযুক্ত সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।টেলিটকের মহাবব্যস্থাপক (সেলস অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন) প্রকৌশলী এসকে ওয়াহিদুজ্জামান বলছিলেন, অভিযানে উদ্ধার হওয়া সিমগুলো পরীক্ষা করে দেখো হয়েছিলো, সেগুলোর অনেকটাই কয়েক বছর আগে নেয়া সিম। অথচ সেসব সিমের প্যাকেট এতেটা নতুন যে, মনে হয় কয়েকদিন আগে নেয়া সিম। কেউ কী বছরের পর বছর সিমের প্যাকেট জমিয়ে রাখে !তিনি বলেন, অপারেটর হিসেবে টেলিটক গ্রাহকের কাছে সিম বিক্রি করে। এখন গ্রাহক এর ব্যবহার কীভাবে করছে সে দায় কীভাবে টেলিটকের ? সেটার দায় তো গ্রাহকের।টেলিটকের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মহাব্যবস্থাপক জানালেন, তারা অবৈধ ভিওআইপি নিয়ে টেলিটকের সিম ব্যবহারের প্রমাণ পেলে তা কোন গ্রাহকের এবং বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দিয়ে থাকেন। এছাড়া টেলিটকের কোনো ডিলারের সংশ্লিষ্টতা পেলে তার ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও তারা নিয়ে থাকেন।বছরের পর বছর ধরেই রহস্যজনকভাবে বিপুল পরিমানে টেলিটকের সিম দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি করার বিষয়টি সামনে আসছে। সিম বায়োমেট্রিকসহ প্রযুক্তির রূপান্তরের সময়েও এটি যেন কমছেই না।এই গত সেপ্টেম্বরেও বিটিআরসির অভিযানে জব্দ করা হয় ৯০০ টেলিটক সিম। এসব সিম দিয়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ লাখ ৩০ হাজার মিনিট হারে অবৈধ ভিওআইপি কল করা হতো। দেড় বছর ধরে চক্রটি এই অবৈধ ভিওআইপি করে আসছিলো। এই হিসাবে এখানেই প্রায় ৭ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।একই বছরের ফেব্রয়ারিতে শুধু টেলিটকের ৩৪০০ সিম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভিওআইপি চালানো এক চক্রকে ধরে বিটিআরসি ও র‌্যাব।এরআগে অনেক অভিযানে অবৈধ ভিওআইপিতে উদ্ধার করা সিমের মধ্যে টেলিটকের সিমই বেশি পাওয়া যেতো।২০১৮ সালের নভেম্বরে টেলিটকের ৭৭ হাজার ৫৯০টি সিম বন্ধ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সিডিআর অ্যানালাইজার ও জিও-লোকেশন ডিটেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে ওই সিমগুলো বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।