অবাধে নিধন করা হচ্ছে বিপন্ন প্রজাতির কুচিয়া

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত নিধন করা হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য উপকারী কুচিয়া। রাউজান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমি ও জলাশয়ের পাশে মাটির গর্ত করে প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য উপকারী কুচিয়া বসবাস করে।

রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত রাতেই ফসলী জমির আইলে ও জলাশয়ের পাশে বাশের কাঠি দিয়ে তৈয়ারী করা ছাই বসিয়ে বিশেষ ভাবে ফাদঁ পেতে ব্যপক হারে নিধন করা হচ্ছে কুচিয়া। কুচিয়া নিধন করার পর কুচিয়া শিকারীরা কুচিয়া বস্তাভর্তি করে পাবত্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় ও চট্টগ্রাম নগরী দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রয় করছে । পাবর্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী উপজাতীয় সম্প্রদায়ের লোকজন কুচিয়া রান্না করে মজাদার খাবার হিসাবে খেয়ে থাকে । দেশের বাইরে অধ্যুষিত দেশের মধ্যে দেশ থেকে শিকার করা কুচিয়া বিক্রয় করে কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিপুল পরিমান টাকা আয় করছে বলে একাধিক সুত্র জানায় । গতকাল ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে রাউজান উপজেলার ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিন হিংগলা কলমপতি এলাকায় ফসলী জমিতে বাশের তৈয়ারী ছাইু বসিয়ে নিধন করা কুচিয়া নিয়ে যাওয়ার সময়ে এলাকার লোকজন তাকে কুচিয়া সহ আটক করে। এসময়ে স্থানীয় মেম্বার ওবাইদুল হক চৌধুরী নিধন করা কুচিয়াগুলো কলমপতি খালে ছেড়ে দেয়। রাউজান উপজেলা উপ সহকারী কুষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল বলেন, কুচিয়া ফসলী জমির মাটির নিচে বসবাস করে। ফসলী জমিতে কুচিয়া বসবাস করার কারনে ফসল উৎপাদন হয় বেশী । রাউজান উপজেলা মৎস অফিসার পিযুষ প্রবাকর বলেন, কুচিয়া একটি প্রোটিন সম্বৃদ্ব প্রাণী । কুচিয়া ব্যাপক হারে নিধন করা হলে প্রাকৃতিক পরিবেশের মারত্বক কাষতি হবে । রাউজান উপলো পরিবেশ আন্দোলন কমিটির সাধারন সম্পাদক এম এন নুরুল আবছার বলেন, কুচিয়া ফসলী জমির আইলে ও জলাশয়ের পেেশর মাটিতে গর্ত করে বসবাস করে। শুস্ক মৌসুমে ফসলী জমি ও জলাশায় থেকে পানি শুকিয়ে গেলে কুচিয়ার গর্তে বিভিনন প্রজাতির মাছ প্রবেশ করে জীবন রক্ষা করে। বৃষ্টি হলে ফসলী জমিতে পানি ও জলাশয়ে পনি জমলে কুচিয়ার গর্তে আশ্রয় নেওয়া মাছ গর্ত থেকে বের হয়ে আসে । এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মনজুরুল কিবরিয়ার কাছে ফোন করে জানতে চাইলে , তিনি বলেন, কুচিয়াতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে । বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাছ চাষের পাশাপাশি কুচিয়ার চাষ করা হচ্ছে । গ্রামের ফসলী জমি ও জলাশায়ের পশে মাটির গর্তে বসবাস করা কুচিয়া ব্যাপক হারে নিধন করা হলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে । ফসলী জমিতে বাশের খাটি দিয়ে তৈয়ারী করা ছাই বসিয়ে কুচিয়া নিধনকারী নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দ্বা ফরিদ মিয়া বলেন, ফরিদ মিয়া রাউজানের মুন্সির ঘাটা এলাকায় তার পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। প্রতিদিন রাতে রাতেই তার শিশু পুত্র আপনকে নিয়ে ফসলী জমিতে ছাই বসিয়ে খুচিয়া শিকার করে ভোররাতে কুচিয়া গুলো বস্তাভর্তি করে রাঙ্গামাটি এলকায় নিয়ে গিয়ে প্রতি কেজী ২শত থেকে ৩শত টাকা করে বিক্রয় করেন ।