সুখী জীবনের মূলমন্ত্র ভোরে ঘুম থেকে ওঠা

ভোরে ওঠার অভ্যাস সুখী জীবনের মূলমন্ত্রের একটি। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ভোরে ঘুম ভাঙে, তারা বেশি সুখী হন।

এই সুখ স্বল্পমেয়াদি নয় বরং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করে।

চলুন জেনে নেই ভোরে ঘুম থেকে উঠার সুফলগুলো-

মানসিক সুস্থতা: সকালে ওঠার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুফল হচ্ছে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি। যখন কেউ সকালে ওঠেন, তখন কাজের গতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়। ইতিবাচক বার্তা দিয়ে দিন শুরু হয়। সারাদিন এই ইতিবাচক মনোভাব চলতে থাকে। প্রাণচঞ্চলতা বৃদ্ধি পায় ও হাসিখুশি থাকা যায়।

একঘেয়েমি: দিনের কাজ শুরুর জন্য সকালের নাস্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে উঠে একটা স্বাস্থ্যকর নাস্তা করা অতি জরুরি কাজের মধ্যে একটি। কারণ সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ভিটামিন যোগান দেয় এবং যেকোনো কাজে একঘেয়েমি দূর করতে সহায়তা করে।

ব্যায়াম: সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি সুফল বয়ে আনবে ব্যায়াম। সেই সঙ্গে রাতের ঘুমও গভীর করবে ব্যায়াম। সকালে ঘুম থেকে ওঠা মানে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। এতে ঘুম ভালো হয়। প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হলেও অভ্যাস হয়ে গেলে দেহঘড়ি ঘুমের নতুন সময় ও সকালে ওঠার বিষয়টি মানিয়ে নেবে। যারা সকালে উঠে ব্যায়াম করেন তারা সারাদিন ঝরঝরে থাকেন এবং রাতেও গভীর ঘুম উপভোগ করেন।

পড়াশুনা: ভোরে ঘুম থেকে উঠলে আপনি ফ্রেস মনে পড়াশুনায় সময় দিতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক গবেষণায় দেখেছেন, যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করে।

আরও উৎপাদনশীল: সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরো উৎপাদনশীল। তাই দুপুরের লাঞ্চের সময় দেখবেন আপনি যথেষ্ট কাজ সেরে ফেলেছেন এবং তা দেখেই আপনার উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যাবে। তাই ঘুম থেকে সকালে উঠুন।

বিশুদ্ধ বায়ু: সারাদিন মানুষের চলাফেরা ও কলকারখানা খুলা থাকে বলে দিনে বাতাসে প্রচুর রোগ-জীবানু থাকে। কিন্তু ভোরের বায়ু থাকে বিশুদ্ধ। ফলে আপনি নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় বিশুদ্ধ বায়ু শরীরের ভেতরে নিতে পারছেন।

সুখী জীবন: সকালে উঠলে জীবন সুখের হয়। জীবনে ইতিবাচক দিক বাড়ে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ভোরে ঘুম ভাঙে, তারা বেশি সুখী হন।