বিয়ের ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ গ্রহণের পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব

করোনাকালে বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সংসদীয় কমিটি। কমিটির বৈঠকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের মাধ্যমে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স যাচাইয়ের প্রস্তাব
এসেছে। এক্ষেত্রে এনআইডি সার্ভারের তথ্য ব্যবহার করে বিয়ের কাজী নিজের তথ্য ও বিয়ে প্রার্থীদের তথ্য ইনপুট দিয়ে বিয়ের ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ গ্রহণের পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়। জাতীয় সংসদের ‘স্ট্রেংদেনিং পার্লামেন্ট’স ক্যাপাসিটি ইন ইন্টিগ্রেটেড পপুলেশন ইস্যু ইনটু ডেভেলপমেন্ট (এসপিসিপিডি)’ প্রকল্পের সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এই প্রস্তাব দিয়েছেন। সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ ও বেগম রুমানা আলী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিশেষভাবে আমন্ত্রণে অংশ নেন আ স ম ফিরোজ ছাড়াও হুইপ মোছা. মাহাবুব আরা গিনি, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ, মো. আব্দুস শহীদ, আ ফ ম রুহুল হক, মো. হাবিবে মিল্লাত, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আরমা দত্ত, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ও মোছা. শামীমা আক্তার খানম। কমিটি সূত্র জানায়, এমপি আ স ম ফিরোজ বাল্যবিয়ে বন্ধে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে ওই প্রস্তাব দেন।

তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধে গ্রামভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম চালু করার প্রস্তাব দেন। তিনি নারী নির্যাতন বন্ধে থানার একজন মহিলা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া তিনি মাদকদ্রব্য প্রতিরোধে প্রতিটি থানায় একজন অফিসার নির্ধারণ করে দেয়ারও প্রস্তাব করেন। এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, কমিটির বৈঠকে বাল্যবিয়ে বন্ধে করণীয় নিয়ে আলোচনাকালে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স প্রমাণে এনআইডি যাচাইসহ বেশকিছু প্রস্তাব এসেছে। সংসদীয় কমিটি ওই বক্তব্য আমলে নিয়েছে। পরবর্তীতে বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বৈঠকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপ বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। বিএপিপিডি’র প্রতিনিধি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যদের পরামর্শ বিষয়ক কর্মশালায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং যৌন হয়রানি বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হয়।