কে হচ্ছেন জার্মানির চ্যান্সেলর

অ্যাঙ্গেলা মারকেলের পর কে জার্মানির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, তা নির্ধারণ করতে আজ সেখানে পার্লামেন্ট নির্বাচন। দীর্ঘ সময় জার্মানিতে জনপ্রিয় ও সফল একজন চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মারকেল। কিন্তু আজ যে পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে তাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই নির্বাচন হবে অস্বাভাবিক কঠোর। খুব কাছাকাছি হতে পারে ফল। এ জন্য এ নির্বাচনকে বিরল হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। রাজধানী বার্লিনে হচ্ছে বার্ষিক ম্যারাথন।

কিন্তু তার চেয়ে বড় দৌড় শুরু হচ্ছে সারা দেশে। সেই দৌড় রাজনীতির। সেই লড়াই ক্ষমতার। শনিবার ছিল নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। এদিন রক্ষণশীল প্রার্থী আরমিন ল্যাসচেটের সমর্থনে তার নিজের শহর আচেনে অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। চূড়ান্ত জনমত জরিপ বলছে, বিজয় তাদের হাতের কাছে নাও আসতে পারে।
ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেয়া জার্মানিতে ১৮ বছর বা তারও বেশি বয়সী কমপক্ষে ৬ কোটি মানুষ ভোট দেবেন। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে। তারপরই শুরু হবে গণনা। এরপর পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলবে, কারা বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। নির্বাচন শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগেই মারকেল ভোটারদের সতর্ক করেছেন- ক্ষমতায় কে আসছেন তা আসলেই একটি ব্যাপার। তার বার্তা হলো, জার্মানিতে স্থিতিশীলতা দরকার। ভবিষ্যতে তরুণদের প্রয়োজন রয়েছে। আর এসব নিশ্চিত করতে পারেন যিনি তিনি হলেন আরমিন ল্যাসচেট। তবে এই নির্বাচনে ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ ভোটার নিশ্চিত নন, তারা কাকে ভোট দেবেন। তবে এরই মধ্যে পোস্টাল ব্যবস্থায় রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন। শুরুতে রক্ষণশীল সিডিইউ ও তাদের সঙ্গী দলগুলো এগিয়ে ছিল। এক পর্যায়ে গ্রিন পার্টি সামনে এগিয়ে যায়। তারপরই ওলাফ স্কলজের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের পালে হাওয়া লাগে।
যে তিনজন প্রার্থী চ্যান্সেলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আছেন তার মধ্যে স্কলজের প্রতি ভোটারদের সমর্থন বেশি। তিনি মিসেস অ্যাঙ্গেলা মারকেলের ডেপুটি ছিলেন। এ কারণে তিনি সহজেই ভোটারদের কাছে যেতে পেরেছেন। কিন্তু রক্ষণশীল আরমিন ল্যাসচেট তার সমান এগুতে পারেননি। যদি নির্বাচনে স্কলজ নির্বাচিত হন তাহলে জোট গঠন করতে হলে তার আরো দুটি দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে।