পুরোনো আইফোনে দেশ বদলে দিলেই বেড়ে যাচ্ছে গতি

অ্যাপল পুরোনো মডেলের আইফোনগুলোর গতি কমিয়ে দেয় বলে একাধিক খবরে জানানো হয়েছে। ব্যাপারটি প্রকাশ পেলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। এরপর মাফ চেয়েছে অ্যাপল, জরিমানার মুখে পড়েছে। ব্যাখ্যায় বলেছে, ব্যাটারি পুরোনো হয়ে গেলে আইফোন হুটহাট যেন বন্ধ না হয়ে যায়, সে জন্য গতি কমিয়ে দেয় তারা।

সে ঘটনার পর তুলনামূলক কম খরচে ব্যাটারি বদলে নেওয়ার সুযোগ দেয় অ্যাপল। সে সঙ্গে আইফোনের গতি কমানো হবে কি না, তা নির্ধারণের নিয়ন্ত্রণ ‘পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট’ সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায়।

এখন নতুন একটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোনের গতি কমিয়ে দেওয়া নিয়ে ফ্রান্সে যে মামলা হয়, তাতে হেরে যায় অ্যাপল। এতে আইফোনের সেটিংস থেকে যদি দেশ হিসেবে ‘ফ্রান্স’ নির্বাচন করা হয়, তবে পুরোনো ফোনগুলোতে পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট সুবিধাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এতে ডিভাইসের গতি বেড়ে যাচ্ছে বলে চীনা ওয়েবসাইট মাইড্রাইভার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অবস্থান বদলের আগের এবং পরের গতির পার্থক্য বোঝানোর জন্য পুরোনো আইফোন ৭ মডেলের স্মার্টফোনে আনতুতু বেঞ্চমার্ক টেস্ট চালিয়ে দেখানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে ডিভাইসের অবস্থান বদলে দিলে পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আরও কিছু বদলায় কি না, তা পরিষ্কার নয়।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আইফোনের বয়সের সঙ্গে গতি কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। ক্ষমা চাইলেও সেটিকে নতুন ফোনের বিক্রি বাড়ানোর কৌশল মানতে নারাজ মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ব্যাটারি কতটুকু কর্মক্ষম আছে, তা বোঝানোর জন্য সুবিধা চালু করে।

আইফোনের গতি কমিয়ে দেওয়ার ঘটনার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি সংস্থা ডিজিসিসিআরএফ অ্যাপলকে আড়াই কোটি ইউরো জরিমানা করে। সে জরিমানার কারণ মূলত ব্যাপারটি গ্রাহকদের না জানানোর ব্যর্থতা।