ঝড়, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত ও ধূলিঝড়ের তাণ্ডব সাথে ভোগান্তি

মির্জা ইমতিয়াজ শাওন:: চৈত্রের আকস্মিক প্রবল কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টির ও ধূলিঝড়ের সাথে বজ্রপাতের তাণ্ডবে মঙ্গলবার রাতে নাস্তানাবুদ হয় নগরবাসী। এ সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসফেরত ও ঘরমুখী মানুষদের। সেই সঙ্গে অফিস থেকে ফেরার পথে তাদের পড়তে হয় রাস্তায় পরিবহন না থাকার মতো সমস্যার কবলে। সন্ধ্যার বৃষ্টির সঙ্গে নানা ধকল কাটিয়েই এ সব মানুষকে যেতে হচ্ছে ঘরের খোঁজে।

মির্জার পুলএকুশে হাসপাতালের গা ঘেষে দাড়িয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আখি সাহা এর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানালেন, সারাদিনের ক্লান্তি শেষে সন্ধ্যায় পর যখন অফিস থেকে বের হলাম তখনই শুরু হলো বৃষ্টি। অগত্যা বৃষ্টিতেই ঝুকি নিয়ে রওনা দিতে হচ্ছে বাড়ি ফেরাদের দলে।

সন্ধ্যার পর আকাশে মেঘ জমতে থাকে। রাত ৮টার দিকে হঠাৎই শুরু হয় ধূলিঝড়। এতে অনেক এলাকার সাইনবোর্ড, কেবল সংযোগের তার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় কয়েক দফা বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটে। বৈশাখীর আঘাতসহ ভারী শীলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় শীলা দেখা গেছে। ধেয়ে আসা শীলাবৃষ্টি বর্ষণে গুটি-গুটি আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আমাদের উপজেলা সংবাদদাতারা জানান, শিলা বৃষ্টিতে আমের মুকুল ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যাওয়া ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে অনেকের কাচাঘর বাড়ি সহ টিনের ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। বহু বাড়ির চালের টিন ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

এদিকে নগরবাসী অফিস ও কাজ কর্ম শেষে বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়ে যান। বৃষ্টিও বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য সকলে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন রাস্তার পাশের দোকানপাটের ছাদের নীচে। মুরাদপুরে আমাদের অফিসের নিচে জনা আটেক মানুষ দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে পরস্পরের গা ঘেষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির শেষ না হওয়া অবদি অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এর মধ্য থেকে কথা হয় আকিব নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে তিনি জানান বাড়িতে ফিরতে বেগ পেতে হচ্ছে, রাস্তায় গাড়ি নেই, পানি জমে গেছে, প্রবল বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত বেশ মুশকিল কিভাবে হাটহাজারী অবদি যাবো বুঝতে পারছিনা।

ঝড়ের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মহানগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঝড় থামার পর রাত বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।