জাতীয় ক্রিকেট দলের বিদেশ সফরে নিরাপত্তা নিয়ে আগে কখনোই ভাবতে হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। ক্রাইস্টচার্চের সন্ত্রাসী হামলা সবকিছু নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। জাতীয় দলের নিরাপত্তা নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিদেশে দল পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের কাছ থেকেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। সে অনুযায়ী আগামী মাসে বাংলাদেশ দলের আয়ারল্যান্ড সফর সামনে রেখে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নিরাপত্তা পরিকল্পনা চেয়েছে বিসিবি।
আইরিশ ক্রিকেট বোর্ডের শিগগিরই নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবির প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাংলাদেশ দলের ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য নিরাপত্তা পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, তারা তাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা আমাদের পাঠিয়ে দেবে।’
আয়ারল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে কেমন নিরাপত্তা পাবে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা তা জানা নেই বিসিবি কর্মকর্তাদের। তবে পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে একটা অনুমান তারা করতেই পারেন। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি টুর্নামেন্ট চলাকালে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দু’জন সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। সে সময়ের টিম ম্যানেজমেন্টের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুধুমাত্র বাংলাদেশ দলের ভেন্যুতে যাতায়াতের সময় ওই দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা থাকতেন। বাকি সময় কখনোই তাদের দেখা যেত না।
বাংলাদেশ দল আগে যে ক’বার আয়ারল্যান্ড সফরে গেছে, কোনো সফরেই টাইগারদের আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। বিসিবি থেকেও এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। তার প্রয়োজনও পড়েনি। কিন্তু বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের মতো বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিদেশ সফরে নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। যদিও বিসিবি সিইও বিষয়টিকে কঠিন করে দেখছেন না।
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আলাদা হয়। আয়ারল্যান্ডে আগে নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়নি। এবার দলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা চাইব আমরা।’ আগামী ১ মে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে বিশ্বকাপের জন্য মাশরাফিরা পাড়ি জমাবেন ইংল্যান্ডে। বিশ্বকাপ চলাকালে দলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে আইসিসি