এসএম এস ছাড়া টিকা কেন্দ্রে ভিড় না করার পরামর্শ

হোসেন বাবলাঃ
চট্টগ্রাম বিভিন্ন গুজবের কারণে নানা আশঙ্কার ব্যাপারে প্রথমদিকে টিকা গ্রহণের আগ্রহী ছিলেন না অনেকেই। সাধারণ মানুষ টিকা গ্রহণের বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই ঘুরপাকে খাচ্ছিলেন । তবে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবার। করোনার সংক্রমণের সর্বোচ্চতাকে সামনে নিয়ে এখন যেকোন উপায়ে টিকা নিতে চান সাধারণ মানুষ। এজন্য টিকার নিবন্ধনেও কয়েকগুণ গতি এসেছে। বেড়েছে গ্রহীতার সংখ্যাও। আর আশঙ্গা বেড়েছে গণটিকা কার্যক্রমে ওয়ার্ড ওইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ নিবন্ধন করে এসএমএস পান নি তারাও প্রচন্ডভাবে ভিড় জমিয়ে পুরো কার্যক্রম কে অনেকটাই ঘুলাটে করে তুলেছেন। টিকা পেতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানুষের স্রোত : দিনদিন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং মৃত্যুর সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম। হাসপাতালের শয্যাও এখন ফাঁকা নেই। এমন চিত্রের মধ্যেই সবার আগে টিকা পেতে হুমড়ি খেয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। এতে টিকাকেন্দ্রগুলোতে মানুষের স্রোত নেমেছে। গতকাল (রবিবার) এবং আজ সোমবার সকাল থেকে-দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এমনটিই লক্ষ্য করা গেছে। শুধু গতকালই নয়, গেল এক সপ্তাহ ধরে সব কেন্দ্রের চিত্র ছিল একই। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘মানুষকে বারবারই বলা হচ্ছে, এসএমএস না আসা ছাড়া যেন কেন্দ্রে না আসে। কিন্তু দেখা যায় এসএমএস নিয়ে যারা উপস্থিত হচ্ছে, তাদের দুই তিনগুণ বেশি মানুষ এসএমএস ছাড়া ভিড় করছে। ফলে

কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শৃঙ্খলাও নষ্ট হচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত টিকা আছে, নিবন্ধন অনুযায়ী সকলকেই টিকার আওতায় আনা হবে। এ নিয়ে সরকারও কাজ করছে’।
স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ
করোনার সুরক্ষা জন্য টিকা গ্রহণ করার পরও স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক ব্যবহার আর হাত ধোঁয়ার বিষয়ে এখনও জোর দিচ্ছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। অথচ টিকাদান কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করতে গিয়েই উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এ নিয়ে যেন উদাসীন কর্তৃপক্ষও। তবে টিকা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের তাগিদ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। এদিকে বন্দর ইপিআই জোনের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাসান মুরাদ চৌধুরী বলেন, জোনের আওতায় ২৬,৩৭,৩৮,৩৯,৪০ ও ৪১নং ওয়ার্ডের বসবাসকারী সহ টিকা নিবন্ধনকারীগণ এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষ নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক পরিদান করে ঘোষিত টিকা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন । আর সুরক্ষা এ্যাপসে নিবন্ধন করেছেন অথচ এসএমএস পাননি তারা ঘোষনা না দেওয়া পর্যন্ত টিকা কেন্দ্রে ভিড় না করতে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে পর্যাপ্ত টিকা আছে, নিবন্ধন অনুযায়ী সকলকেই টিকার আওতায় আনা হবে। সকল কে টিকার সুরক্ষাই আনার জন্য সরকার ঘোষিত ১২সদস্যর ওয়ার্ড কমিটি স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বলে কমিটির টিম লিডার মোঃ লোকমান হাকিম ওসেলিম রেজা জানান। আগত সকল টিকা গ্রহিতা বিনামূল্যে সরকার ঘোষিত নির্ধারিত কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।