সিআরবিতে নয় অন্যত্র এক হাজার শয্যার হাসপাতাল করে দিতে চান ব্যারিস্টার মনোয়ার

সিআরবি crb নয় চট্টগ্রামের অন্যত্র সরকারী ভাবে প্রয়োজন মাফিক জায়গা, অনুমোদন দিলে চট্টগ্রামবাসীর জন্য ১০০০ এক হাজার শয্যার আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাসপাতাল গড়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষন করেছেন ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন। আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক চট্টগ্রামের এ কৃতি সন্তান আরো জানান সে হাসপাতালটি নির্মাণ করে তা সকারের কাছে হস্তান্তর করে দেবেন। শর্ত হবে যেখানে গরীব মানুষ নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও বড়লোক পয়সার বিনিময়ে সেবা পাবেন।
হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল এর সেক্রেটারী জেনারেল, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সভাপতি ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মনেয়ার হোসেন সিআরবি প্রসঙ্গে বলেন Keep the CRB (Central Railway Buildings, Chattagram ) and its surrounding area safe :
অবহেলিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য ধরে আছে এই। সিআরবি এলাকা। বৃটিশ আমলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের হেডকোয়ার্টার চট্টগ্রামের সিআরবি হওয়াতে এই শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেলের অনেক জায়গা৷ ফয়স লেকসহ পুরো পাহাড়তলী, আমবাগান, জিলাপী পাহাড়, কাঠের বাংলো, হাতি বাংলো সবই রেলের। এর বাইরেও হালিশহর ও পোর্টেও রেলের প্রচুর জায়গা৷ তারপরেও ধ্বংস হতে চলা চট্টগ্রাম শহরের অতীতের সবচে সুন্দর অংশ হয়ে টিকে আছে সিআরবি-টাইগার পাস এরিয়া।। চট্টগ্রামে নেই ভালো পার্ক, নেই তেমন বিনোদনের সুযোগ । নাগরিকরা তাই এখানে সকাল সন্ধ্যায় সমাবেত হয়, এর বাইরেও বসে বৈশাখী মেলা, সারা বছরই হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কাদের যেন আর সহ্য হলোনা এটা। অতীতে রেলের সম্পদ ফয়স লেক অল্প টাকার বিনিময়ে দীর্ঘমেয়াদী লিজ দেয়ায় ফয়স লেক চলে গেছে সাধারণ নাগরিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। (আগে ফয়স লেকের এন্ট্রি টিকেট ছিলো ৩টাকা, এখন কনকর্ডের হাতে দেয়ার পর ৩০০ টাকা। আর রেল কনকর্ড থেকে পাচ্ছে বছরে মাত্র ১৬ লাখ টাকা যেখানে প্রতিবছর ৩৩৬ একর জমির ভূমিকর হিসেবে রেলকে দিতে হয় প্রায় দুই কোটি টাকা)।
এখন নগর ঐতিহ্য সিআরবিকেও কিছু টাকার বিনিময়ে তুলে দেয়া হচ্ছে একটি গ্রুপের হাতে এক্সপেনসিভ প্রাইভেট হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ বানাতে। বড়লোকের এই হাসপাতাল থেকে গরীবরা কোন উপকার পাবেনা। কারণ ৯৯% মানুষই এফোর্ড করতে পারবেনা এর খরচ৷ তারপরও হাসপাতাল যদি করতেই চাও তবে সিআরবি কেন? চট্টগ্রান শহরে কি রেলের জায়গার অভাব পড়েছে?
শুধু শত শত শতবর্ষী গাছের কারণে নয়, ঐতিহ্যগত কারণেই সিআরবি এলাকাকে রাখতে হবে অবিকৃত। রেলের জায়গার কোন অভাব নাই যে সিআরবি ধ্বংস করে এই জায়গাতেই বেসরকারী গ্রুপকে হাসপাতাল করতে দিতে হবে৷ এই কাজে চট্টগ্রামের যে নেতা দালালী করবে সে চিহ্নিত হয়ে থাকবে মীরজাফর হিসেবে এবং নিক্ষিপ্ত হবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে৷ চট্টগ্রাম বসবাসরত আমার সকল বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ রইলো এ ব্যাপারে আপনাদের প্রতিবাদ জারি রাখুন। ফিজিকালি না পারলে সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন । ব্রাজিল আর্জেন্টিনার জন্য পারলে নিজের শহর বাঁচাতে পারবেন না? নিশ্চিত করুন কোনভাবেই যাতে এখানে কোন রকম স্থাপনা গড়ে উঠতে না পারে। চট্টগ্রামের তথা দেশের স্বার্থেই সিআরবিকে রাখতে হবে নিরাপদ !