সিআরবিকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হোক

নগরীর অক্সিজেন পকেট বা ফুসফুস খ্যাত সিআরবি ও টাইগারপাস এলাকার সবুজ পাহাড়, শতবর্ষী বৃক্ষের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় একে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হোক। অপরিকল্পিত ভাবে, উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস আর নয়।এই জায়গা ছাড়তে বলছি এর পরিবেশগত ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য।প্রস্তাবিত হাসপাতালটি শহরের বাইরে স্থাপন করা যায়। এখানে হাসপাতাল স্থাপন করা হলে পরিবেশ ধ্বংস ও নগরীর জানজট মারাত্বক ভাবে বৃদ্ধি পাবে।চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।মাননীয় প্রাধান মন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি সম্প্রতি পাথরঘাটা নজুমিয়া লেইনে আবিস্কৃত ৩০০ বছরের পুরোনো মটকা বাড়ী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। এব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও চউক এর ভূমিকা প্রণিধান যোগ্য।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদী সম্পদক ও প্রকাশক শ্রদ্ধেয় আলহাজ্ব এম. এ মালেক সাহেব সহ চট্টল দরদী অসংখ্য মিডিয়া কর্মী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ আমাদের পরিবেশ আন্দোলনে সমর্থন জানালেন।
ইনশাআল্লাহ মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ পরিবার আইনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে –জিয়া হাবীব আহসান  
সি.আর.বি কে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা অথবা রিজার্ব ফরেস্ট ঘোষণায় প্রধামন্ত্রীর স্থক্ষেপ কামণা করেছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন
পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ এর চেয়ারপার্সন মানবাধিকারকর্মী এডভোকেট এলিনা খান, পরিচালক (অর্গানাইজিং), এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান আজীম দোলন,মানবাধিকার আইনজীবীবৃন্দ যথাক্রমে এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট পরেশচন্দ্র দাশ, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসীমউদ্দীন, এডভোকেট জান্নাতুল নাঈম রুমানা, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট দেওয়ান ফিরোজ আহম্মেদ, এডভোকেট আবুল খায়ের, এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট হাসান আলী, এডভোকেট বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ উসিকা রাইসা, এডভোকেট সেলিনা হুদা চৌধুরী প্রমুখসহ ১০১ জন বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত অক্সিজেন পকেট বা ফুসফুস খ্যাত সিআরবি শীরিষতলাসহ টাইগার পাস এলাকার সংযুক্ত পাহাড় ও শত বর্ষের বৃক্ষের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রক্ষায় মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন । বিবৃতিদাতারা বলেন, সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাথরঘাটা নজুমিয়া লেইনের ৩০০ বছরের পুরনো মটকা বাড়ি প্রত্নতাতিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন । একই ভাবে মহানগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত এলাকাটির পরিবেশ রক্ষায় তাঁর হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। তাঁরা বলেন, পরিবেশ ধ্বংসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অপরিকল্পিত উন্নয়ন জাতির জন্য অকল্যাণ ডেকে আনবে ।তাঁরা বলেন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার সিধান্তকে স্বাগত জানান এবং তা মহানগরীর কেন্দ্র থেকে দূরে কথাও স্থাপণ করার উদাত্ত আহ্বান জানান । প্রস্তাবিত হাসপাতালটি মূল শহরের বাইরে করা গেলে নগরীর যানজট সংকটও হ্রাস পাবে ।মানবাধিকার আইনজীবীবৃন্দ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের রাণী বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পাহাড়, নদী, খাল, বিল, বৃক্ষ প্রত্নতাতিক নিদর্শন ও সবুজ পরিবেশ রক্ষায় জননেত্রী মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন । তারা বলেন এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা প্রনিধানযোগ্য ।তারা আরও বলেন, এলাকাটি রিজার্ব ফরেস্ট ঘোষনারও দাবী রাখে কেননা টাইগার পাস জোন একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ মন্ডিত এলাকা যেখানে ১৩৮ প্রজাতির পাখি ও অর্ধ-শতাধিক প্রজাতির প্রাণীর বিচরণ স্থল । এক সময় এইখানে বিভিন্ন প্রজাতির বাঘও আনাগোনা করতো যার নাম হয় টাইগার পাস, বিধায় এলাকাটিকে রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণার ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করা হয়।