কড়া তল্লাশি: জরুরি না হলে গাড়ি আটক

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর লকডাউনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মইজ্যারটেকে কড়া তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কর্ণফুলী থানা পুলিশের নিয়মিত চেক পোস্টের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও গাড়ি তল্লাশি করছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, হাইওয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
কঠোর লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার মতো জরুরি প্রয়োজনের কাগজপত্র, কর্মজীবীদের পরিচয়পত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি। বাড়াবাড়ি করলে, মিথ্যার আশ্রয় নিলে কিংবা অজুহাত দিয়ে পার পাওয়ার অপচেষ্টা করলেই গাড়ি আটক করে মামলা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার নির্দেশিত কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালন করছি আমরা। থানার নিয়মিত চেক পোস্টে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৮ জনে উন্নীত করা হয়েছে। টহল টিমও আছে। সবচেয়ে বড় কথা সেনাবাহিনীর সদস্যরা মইজ্যারটেকসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছেন।

 

তিনি জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে আমরা গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছি। গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সন্তোষজনক কারণ দেখাতে না পারলে আটকও করছি। পাশাপাশি মুমূর্ষু রোগী পরিবহনসহ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যাদের চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের চলাচলে সহযোগিতা করছি।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৮৯০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৬২ জনের। এর মধ্যে নগরে ৪৪৯ জন এবং উপজেলায় ২১৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৬১ হাজার ৫৮৯ জন। এইদিন করোনায় ৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭ জন উপজেলায় এবং ২ জন নগরে। ১৪ উপজেলার প্রায় প্রতিটিতেই বেড়েছে সংক্রমণ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ১০ জন, সাতকানিয়ায় ১ জন, বাঁশখালীতে ৯ জন, আনোয়ারায় ৬ জন, চন্দনাইশে ২ জন, পটিয়ায় ৮ জন ও বোয়ালখালীতে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে গতকাল। উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ১৩ জন, রাউজানে ২০ জন, ফটিকছড়িতে ৩২ জন, হাটহাজারীতে ২১ জন, সীতাকুণ্ডে ৪১ জন, মিরসরাইতে ৩৮ জন ও সন্দ্বীপে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।