ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর রহস্যজনক মৃত্যুতে তার মায়ের দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ আরমানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া।
বিজন কুমার বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি মোহাম্মদ আরমানকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানালে আদালত শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে ২০ মার্চ দুপুরে নগরের চান্দগাঁও এলাকা থেকে আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
নিহত দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলেও শুরু থেকেই তার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল, দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে। তারা আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দিলে সেটি দিয়াজের পরিবার প্রত্যাখ্যান করে।
২৪ নভেম্বর আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ওই মামলা তদন্ত করছে সিআইডি।
আদালতের নির্দেশে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পায় সিআইডি। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যু আঘাতপূর্বক ও শ্বাসরোধজনিত বলে উল্লেখ করা হয়। ২ আগস্ট ময়না তদন্ত এবং তদন্তের অগ্রবর্তী প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভিকটিম দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।