নির্বাচনী আমেজে উজ্জীবিত চট্টগ্রাম জাতীয় পার্টি

প্রিয় চট্টগ্রাম ডেস্ক:

গোটাদেশ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনমুখী তৎপরতায় উৎসবমুখর হয়ে উঠছে। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলই এখন নির্বাচনমুখী। এছাড়াও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোও জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। ফলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। দলের ভেতরে এবং বাইরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। আর দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর এমন নির্বাচনমুখী তৎপরতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লড়বে ৩ দল: ক্ষমতাসীন মহাজোটের বৃহত্তম শরিক দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বদলে নিজস্ব লাঙ্গল প্রতীকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছে কমিশনকে। তাদের সাথে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের (ইউএনএ) ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ও ইসলামি ফ্রন্ট নির্বাচনে লড়বে লাঙ্গল নিয়ে।

সারা দেশের মত চট্টগ্রামেও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে ভোটের আমেজ বিরাজ করছে। অনেকেই জাতীয় পার্টির মনোনয়ন কিনেছেন। এর মধ্য থেকে আলোচনায় আছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা জিয়া উদ্দীন বাবলু, চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান আলম শেঠ, ব্যবসায়ী নেতা মাজহারুল হক শাহ, মহানগনের সাবেক আহবায়ক মেহজাবিন মোরশেদ, দক্ষিন জেলার নেতা শামসুল আলম মাস্টার প্রমুখ।আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়া উদ্দীন বাবলু ও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টির একটি বিস্বস্ত সুত্র।

উল্লেখ্য, ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ ঠিক করে গত ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে অবশ্য ভোট গ্রহণের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়ে ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়। পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর। এরপর কমিশন ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবে। যোগ্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরদিন ১০ ডিসেম্বর ইসি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করলে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা।