প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে

কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের মোটর শোভাযাত্রা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উদ্যোগে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শহরে মোটর শোভাযাত্রার উদ্বোধন ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১০ জুন ২০২১ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এ মোটর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন। সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকান্ড সম্পর্কে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মোটর শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. কমরুল আযাদ, মেডিকেল অফিসার (সমন্বয়) ডা. উর্মী ভট্টাচার্য, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসাইন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন, বিভাগীয় কীটতত্ত¡বিদ মফিজুল হক শাহ, পিএ টু পরিচালক (স্বাস্থ) শাহাদাৎ হোসেনসহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশন প্ল্যানের আওতায় মোটর শোভাযাত্রাটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন। সিবিএইচসি’র সহযোগিতা ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রমোশনাল উপকরণ ও ব্র্যান্ডিং করা গাড়ির শোভাযাত্রা চলাকালীন অডিও-ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। দেশের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে সুবিধাবঞ্চিত নগরবাসী, বস্তিবাসী, কারখানার শ্রমিক ও ভাসমান জনগোষ্ঠীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল তারিখে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পুনরুজ্জ্বীবিতকরণের প্রকল্প গ্রহন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম সমূহের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম অন্যতম। বর্তমানে সারাদেশে ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাদান কার্যক্রম চালু আছে। সরকারের নির্দেশনা দেশের একটি মানুষও স্বাস্থ্য সেবার আওতার বাইরে থাকবে না। সে লক্ষ্যে গ্রামে ও আরবান এলাকায় এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মোবাইল মেডিকেল টিমেও প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।