গ্রাহকের ছবি ফাঁসের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিল অ্যাপল

আইফোন সারতে দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এরপর তাঁর ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার জন্য এখন ওই নারীকে কয়েক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হলো আইফোন বাজারজাতকারী কোম্পানি অ্যাপলকে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব অরেগনের ওই শিক্ষার্থী মামলায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। তবে ঠিক কত মিলিয়ন ডলার দিয়ে অ্যাপল তাঁর সঙ্গে সমঝোতা করেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। আপসের নথিতে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ‘মাল্টিমিলিয়ন ডলার’।এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আপসরফায় একটি গোপন শর্ত রয়েছে। সেই শর্ত অনুযায়ী, ওই নারী এই মামলার বিষয়ে আর কথা বলতে পারবেন না এবং তিনি কত ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তা–ও প্রকাশ করতে পারবেন না।

২০১৬ সালে ২১ বছরের ওই তরুণী ক্যালিফোর্নিয়ায় পেগাট্রোন টেকনোলজি সার্ভিস নামে অ্যাপলের মেরামত সেন্টারে তাঁর আইফোনটি সারতে দিয়েছিলেন। ফোনটি সেখানে থাকা অবস্থায় তাঁর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশিত হয়। সেগুলো আপলোড করা হয়েছিল মেয়েটির ফেসবুক অ্যাকাউন্টেই। এমনভাবে তা করা হয়েছিল, যেন মনে হয় তিনি নিজেই এগুলো প্রকাশ করেছেন।

বন্ধুরা বিষয়টি মেয়েটিকে জানানোর পর ওই সব ছবি ও ভিডিও অনলাইন থেকে সরানো হয়।

এরপর ওই শিক্ষার্থী ‘তীব্র মানসিক বিপর্যয়’ ঘটানোর জন্য অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার নথি প্রথম হাতে পায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ। সেখানে দুই টেকনিশিয়ান কীভাবে ধাপে ধাপে মেয়েটির ১০টি ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন, তার বিস্তারিত উঠে আসে।

ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর তদন্ত করে অ্যাপল। এরপর ঘটনায় জড়িত দুই টেকনিশিয়ানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।এক বিবৃতিতে অ্যাপল বলেছে, ‘গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ফোন মেরামতের পুরো প্রক্রিয়ায় তথ্য যেন সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমরা একগুচ্ছ প্রটোকল নিয়েছি। যখন আমরা ২০১৬ সালে আমাদের এক ভেন্ডরের কাছে নীতির গুরুতর লঙ্ঘনের এই বিষয় জানতে পেরেছি, তৎক্ষণাৎ আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তখন থেকে ধারাবাহিকভাবে ভেন্ডর প্রটোকল জোরদারেও কাজ করছি।