চলতি বছরে দেশে ফাইভ-জি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশে ফাইভ-জি চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করেন।

এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজ ও ৩৩০০-৩৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড (তরঙ্গ) নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।

চলতি বছরে দেশে ফাইভ-জি চালুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

দ্রুত পরিবর্তনশীল টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রাহকদের মোবিলিটি ও উচ্চতর ডাটারেটের চাহিদার উত্তরোত্তর বাড়ার উপর গুরুত্বারোপ করে গত ৮ মার্চ ১৮০০/২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গ নিলাম সম্পন্ন করেছে বিটিআরসি।

নিলামে ভিত্তিমূল্য ধরা হয় সরকারের পূর্বানুমোদনে ২০১৮ সালের নিলামের বিক্রয় মূল্য অনুযায়ী অর্থাৎ, ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ১ মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ১৫ বছরের জন্য ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হারে এবং ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ১ মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ১৫ বছরের জন্য ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হারে। ২০১৮ সালের নিলামে নিলাম করা তরঙ্গ অপারেটর তার চাহিদা অনুযায়ী টুজি বা থ্রিজি অথবা ফোরজি লাইসেন্সের মেয়াদে তরঙ্গ বরাদ্দ গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

নিলামে প্রাপ্ত তরঙ্গ, বরাদ্দের তারিখ থেকে ৫.৫৯ বছর মেয়াদকালের জন্য প্রযোজ্য চার্জের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট যোগ করে প্রাপ্ত সর্বমোট চার্জের ২৫ শতাংশ অগ্রিম আগামী ২২ মার্চের মধ্যে পরিশোধ সাপেক্ষে সাময়িক তরঙ্গ বরাদ্দপত্র জারি করা হবে। তরঙ্গ বরাদ্দপত্র জারির তারিখ থেকে প্রতি একবছর অন্তর বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে বাকি ৭৫ শতাংশ চার্জ পাঁচটি কিস্তিতে পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। নিলামে সর্বমোট প্রস্তাবিত ২৭.৪ মেগাহার্টজ (১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৭.৪ এবং ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ২০ মেগাহার্টজ) তরঙ্গ প্রদানের নিষ্পত্তি হয়। যার থেকে সরকারের আয় হবে ভ্যাটসহ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।