২৩০টি ডিঙ্গি নৌকায় ৩,৯২০ কেজি ডিম সংগ্রহ

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু হ্যারিটেজ হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউশ জাতীয় মা মাছ। ২৩০টি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ছয় শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হালদা নদীতে ডিম সংগ্রহ করে।

এবার সংগৃহীত ডিমের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৯২০ কেজি। এবার হালদায় বজ্রসহ বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার রাতে ডিমের নমুনা ছাড়ে ও বুধবার রাতে পুরোদমে ডিম ছেড়ে দেয় মা মাছ। রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আহরণকারীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহ করে। হালদা নদীর নয়াহাট থেকে শুরু করে মদুনাঘাট এলাকা পর্যন্ত ডিম আহরণ করা হয়।

জেলেরা ডিম সংগ্রহের পর হাটহাজারীর তিনটি ও রাউজানের একটিসহ মোট চারটি হ্যাচারিতে ডিম থেকে পোনা ফোটানোর জন্য প্রক্রিয়া করে।https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?gdpr=0&client=ca-pub-1192651744743967&output=html&h=327&adk=178447927&adf=4041773846&pi=t.aa~a.3208726436~i.11~rp.4&w=393&lmt=1622233239&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=8184515032&psa=1&ad_type=text_image&format=393×327&url=https%3A%2F%2Fwww.dailynayadiganta.com%2Fchattagram%2F584589%2F%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%259B%25E0%25A7%2587%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%259B%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259B-%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25B9-%25E0%25A7%25A9-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A7%25AF%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%25A6-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF-&flash=0&fwr=1&pra=3&rh=303&rw=363&rpe=1&resp_fmts=3&sfro=1&wgl=1&fa=27&adsid=ChEI8KnChQYQ3PXwhNXb3MuUARI5AMQzoNUVmfFzuLR0Ir3vviv1KEQiupGhGSMD-hiZLeREsZXKnq3DKlSA0JbQHarYcjqmSj9DzBga&uach=WyJBbmRyb2lkIiwiMTEiLCIiLCJNMjAwN0oxN0kiLCI4OS4wLjQzODkuODYiLFtdXQ..&dt=1622233239526&bpp=7&bdt=2779&idt=-M&shv=r20210524&cbv=%2Fr20190131&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D3b5b8e2e587ce6cb-2233643ac9c8000c%3AT%3D1622233238%3ART%3D1622233238%3AS%3DALNI_Mbc1LYEng4JQeW1IQKadLIxhxhbog&prev_fmts=0x0%2C393x327&prev_slotnames=dailynayadiganto_belowimage&nras=3&correlator=5868481466385&frm=20&pv=1&ga_vid=1225673408.1619465351&ga_sid=1622233238&ga_hid=144880230&ga_fc=0&u_tz=360&u_his=7&u_java=0&u_h=873&u_w=393&u_ah=873&u_aw=393&u_cd=24&u_nplug=0&u_nmime=0&adx=0&ady=1846&biw=393&bih=737&scr_x=0&scr_y=277&eid=31060004%2C31060974%2C31060049&oid=3&pvsid=3935678580929348&pem=92&ref=https%3A%2F%2Fwww.google.com%2F&eae=0&fc=1408&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C393%2C0%2C393%2C737%2C393%2C737&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&ifi=4&uci=a!4&btvi=3&fsb=1&xpc=xIK7tLq8FX&p=https%3A//www.dailynayadiganta.com&dtd=80

হ্যাচারি ভিত্তিক দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা ও ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হাটহাজারীর মাছুয়া ঘোনা হ্যাচারিতে ১১২ বালতি, শাহমাদারী হ্যাচারিতে ৯০ বালতি, মদুনাঘাট হ্যাচারিতে ৭৭ বালতি, কামাল সওদাগরের নিজস্ব ছয়টি মাটির কূয়ায় আট বালতি ডিম পাওয়া যয়। এ নিয়ে হাটহাজারী উপজেলায় মোট ২৮৭ বালতিতে প্রতিটিতে ১০ কেজি করে মোট ডিম পাওয়া গেছে দুই হাজার ৮৭০ কেজি।

হাটহাজারীর মাছুয়া ঘোনা হ্যাচারির মো: কামাল উদ্দিন, শাহমাদারী হ্যাচারির মেহেরুন্নো ও মদুনা ঘাট হ্যাচারির বিক্রমজিতসহ দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা ও এসব ঘোনার অভিজ্ঞ জেলে কামাল সওদাগর, মো: জামসেদ ও মো: কফি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া রাউজান উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মোবারকখীল হ্যাচারিতে ৭০ বালতিতে ৭০০ কেজি ডিম পাওয়া গেছে।

আইডিএফের হালদা প্রকল্পের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: রাশেদুল ইসলাম জানান, আইডিএফের নিজস্ব প্রকল্প পরিচালিত লোকবলের মাধ্যমে আটটি কূয়া, পাঁচটি সার্কুলার ট্যংক, ১০টি চৌবাচ্ছায় মোট ৪২ বালতিতে ৩৫০ কেজি ডিম পাওয়া গেছে। রাউজানে মোট ডিম পাওয়া গেছে এক হাজার ৫০ কেজি। এ নিয়ে ২০২১ সালে হাটহাজারী ও রাউজান মিলে হালদায় মোট ডিম পাওয়া গেল তিন হাজার ৯২০ কেজি।https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?gdpr=0&client=ca-pub-1192651744743967&output=html&h=327&adk=178447927&adf=1488734791&pi=t.aa~a.3208726436~i.20~rp.4&w=393&lmt=1622233239&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=8184515032&psa=1&ad_type=text_image&format=393×327&url=https%3A%2F%2Fwww.dailynayadiganta.com%2Fchattagram%2F584589%2F%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%259B%25E0%25A7%2587%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%259B%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259B-%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25B9-%25E0%25A7%25A9-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A7%25AF%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%25A6-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF-&flash=0&fwr=1&pra=3&rh=303&rw=363&rpe=1&resp_fmts=3&sfro=1&wgl=1&fa=27&adsid=ChEI8KnChQYQ3PXwhNXb3MuUARI5AMQzoNUVmfFzuLR0Ir3vviv1KEQiupGhGSMD-hiZLeREsZXKnq3DKlSA0JbQHarYcjqmSj9DzBga&uach=WyJBbmRyb2lkIiwiMTEiLCIiLCJNMjAwN0oxN0kiLCI4OS4wLjQzODkuODYiLFtdXQ..&dt=1622233239526&bpp=6&bdt=2779&idt=-M&shv=r20210524&cbv=%2Fr20190131&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D3b5b8e2e587ce6cb-2233643ac9c8000c%3AT%3D1622233238%3ART%3D1622233238%3AS%3DALNI_Mbc1LYEng4JQeW1IQKadLIxhxhbog&prev_fmts=0x0%2C393x327%2C393x327&prev_slotnames=dailynayadiganto_belowimage&nras=4&correlator=5868481466385&frm=20&pv=1&ga_vid=1225673408.1619465351&ga_sid=1622233238&ga_hid=144880230&ga_fc=0&u_tz=360&u_his=7&u_java=0&u_h=873&u_w=393&u_ah=873&u_aw=393&u_cd=24&u_nplug=0&u_nmime=0&adx=0&ady=3108&biw=393&bih=737&scr_x=0&scr_y=277&eid=31060004%2C31060974%2C31060049&oid=3&pvsid=3935678580929348&pem=92&ref=https%3A%2F%2Fwww.google.com%2F&eae=0&fc=1408&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C393%2C0%2C393%2C737%2C393%2C737&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&ifi=5&uci=a!5&btvi=4&fsb=1&xpc=oJ1C7N8jfE&p=https%3A//www.dailynayadiganta.com&dtd=96

তবে এবার হালদায় মোট ডিম আহরণের পরিসংখ্যানিক তথ্য জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাবলী জানান, আমি দুঃখিত সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য দিতে পারছি না। আপনি মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য নেন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমিন জানান, রাত আনুমানিক ১টার দিকে হালদা নদীর বিভিন্ন স্থানে মা মাছ ডিম ছাড়ছে বলে জেলেরা তথ্য জানায়। হালদা নদীর অংশের আজিমের ঘাট, অংকুরি ঘোনা, কাগতিয়ার মুখ, গড়দুয়ারা নয়াহাট, রাম দাশ মুন্সির ঘাট, মাছুয়া ঘোনা ও সত্তার ঘাট অংশে ডিম সংগ্রহ করে। তিনি আরো জানান, সংগ্রহিত ডিম নিরাপদে ফোটানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হালদার রেণুর সাথে কেউ যেন স্থানীয় হ্যাচারির রেনু মিশিয়ে ভেজাল করতে না পারে সে জন্য দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালতও তৎপর রয়েছে।

ডিম থেকে রেণু ফোটাতে অভিজ্ঞ রেণু সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতি ৬০ কেজি ডিম থেকে তিন দিন বয়সী এক কেজি রেণু ফোটানো সম্ভব হয়। এ হিসাবে সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের সংগৃহীত ডিম থেকে তিন দিন বয়সী প্রায় ৬৫ কেজি রেণু ফোটানো সম্ভব হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

আহরিত ডিম আধুনিক পদ্ধতিতে সরকারি হ্যাচারির পাশাপাশি সনাতন পদ্ধতিতে মাটির তৈরি কুয়াতে ফোটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ডিম সংগ্রহকারীরা। সবকিছু ঠিক থাকলে এসব ডিম থেকে ফোটানো রেণু তিন দিন পর থেকে বিক্রি শুরু হবে।

উল্লেখ্য, হালদা নদী থেকে ২০২০ সালে মে মাসে ২৫ হাজার কেজি (যা ছিল বিতর্কিত তথ্য), ২০১৯ সালে ২৬ মে মাসে সাত হাজার কেজি, ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল ২২ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল ১৬৮০ কেজি, ২০১৬ সালের ২ মে ৭৩৫ কেজি, ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল ও ১২ জুন ২ হাজার ৮০০ কেজি, ২০১৪ সালের ১ মে ১৬ হাজার ৫০০ কেজি, ২০১৩ সালের ৫ মে ৪ হাজার ২০০ কেজি, ২০১২ সালে ৮ এপ্রিল ২১ হাজার ২৪০ কেজি, ২০১১ সালে ১৮ এপ্রিল ১২ হাজার ৬০০ কেজি, ২০১০ সালে ২২ মে ৯০০০ কেজি ও ২০০৯ সালে ২৫ মে ১৩ হাজার ২০০ কেজি ডিম সংগৃহীত হয়।