সন্দ্বীপ জুড়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস

প্রিয় চট্টগ্রাম ডেস্ক:

সন্দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ডের সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুত্ সরবরাহ দেওয়া হয়েছে সন্দ্বীপে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় তিন হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সন্দ্বীপের সকল গ্রাহককে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে।

প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের আওতায় আসায় সন্দ্বীপের বাসিন্দাদের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।

২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডটিটির ১৪৪ কোটি টাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু করে । প্রথমে সন্দ্বীপের বাউরিয়া বেড়িবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে ১০ ফুট নিচ থেকে ড্রেন করে টানা হয় সাবমেরিন ক্যাবল। ২১ ডিসেম্বর ওয়াটার জেটের সাহায্যে সন্দ্বীপ চ্যানেল নদীর তলায় মাটির ১০ থেকে ২০ ফুট গভীরে দুটি সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর কাজ। জাতীয় গ্রিড থেকে ১১ কেভি (কিলো ভোল্ট) ক্ষমতাসম্পন্ন ৩টি তার সীতাকুণ্ডের বাকখালী সাবস্টেশনে আসে। সাবস্টেশন থেকে ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ৩৩ কেভি একত্রিত হয়ে একটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ এসে সংযুক্ত হয় বাউরিয়াঘাট এলাকায় স্থাপন করা ট্রান্সমিটারে। সেখান থেকে আবারো ১১ কেভি করে ভাগ হয়ে ৩টি তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে এনাম নাহারের পশ্চিমের সাবস্টেশনে। উক্ত সাবস্টেশন হতে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ।

পিডিবি’র আবাসিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ায় সন্দ্বীপে ডিজেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পুরোসন্দ্বীপ বিদ্যুতের নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে আরো এক বছর সময় লাগবে।

 

ছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জোনে বিদ্যুত্ বিতরণ সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সন্দ্বীপে বিদ্যুত্ সরবরাহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৪ কোটি টাকা। সমুদ্রের নিচ দিয়ে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুত্ সরবরাহের জন্য সন্দ্বীপে ইতোমধ্যে একটি সাবস্টেশন ও ৭০ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। সাবমেরিন ক্যাবলে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহ করা যাবে।